আপনার জিজ্ঞাসা

কোন কোন কারণে কবরের আজাব হবে?

Looks like you've blocked notifications!

 

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। শরীফ বায়জীদ মাহমুদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া।

আপনার জিজ্ঞাসার ২১৩‌৬তম পর্বে কবরের আজাবের কারণ সম্পর্কে ঢাকা থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন এক দর্শক। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : কবরের আজাব হবে কোন কোন কারণে?

উত্তর : কবরের আজাবের বহু কারণ আছে। তার মধ্যে অবশ্যই শিরকের কারণে হবে, কুফরির কারণে হবে, মুনাফেকির কারণে হবে।

আর যে সমস্ত গুনাহের কথা রাসুল (সা.)-এর হাদিসে স্পষ্টভাবে এসেছে, যেমন, প্রস্রাব-পায়খানা থেকে পবিত্রতা হাসিল না করার কারণে, চুগলখুরির কারণে অর্থাৎ একজনের কথা অন্যকে বলে সমস্যা বাধিয়ে দেওয়া, সুদের কারণে, ঘুষের কারণে, ব্যাভিচারের কারণে, মিথ্যাচারের কারণে অর্থাৎ যেকোনো কবিরা গুনাহের কারণে কবরের আজাব হবে।

কবরের এই আজাব দুই ধরনের। একটি হচ্ছে চিরস্থায়ী আজাব যেমন, কাফের, মুনাফেক, মুসরেকদের আজাব চিরস্থায়ী। এদের আজাব চলতেই থাকবে কখনোই থামবে না। এমনকি হাশরের মাঠে ও তার পরও এই আজাব চলতে থাকবে।

আর অন্যটি হচ্ছে অস্থায়ী আজাব। ইমানদারের কবরে যদি আজাব হয় সেই আজাব এক সময় শেষ হয়ে যাবে। আজাবের পর গুনাহ মাফ হওয়ার পর হাশরের ময়দানে তাঁর আর আজাব থাকবে না সে জান্নাতে চলে যাবে।

চিরস্থায়ী গুনাহগারদের আজাব যদি হাশরের ময়দানেও শেষ না হয় তাহলে সে জাহান্নামে পড়ে যাবে এবং সুপারিশের মাধ্যমে সেখান থেকে বের হয়ে আসবে।

সুতরাং, কবরের আজাব বিভিন্ন গুনাহের কারণে হবে। একটি স্থায়ী আজাব অন্যটি অস্থায়ী আজাব।

কবিরা গুনাহগার ব্যক্তিদের জন্য দোয়া চাইলে অনেকসময় আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। এই জন্য ইমানদারকে সামনে রেখে আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাঁকে ক্ষমা করে দেন। আমরা চাওয়ার কারণেই আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দেবেন।