আপনার জিজ্ঞাসা

কাজা রোজা কীভাবে আদায় করব?

Looks like you've blocked notifications!

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

জুমাবারের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ৫৫০তম পর্বে অতীতে যে রোজাগুলো রাখা হয়নি, সেগুলো কীভাবে আদায় করা যাবে, সে সম্পর্কে মতিঝিল থেকে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন নাসিমা। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : অতীতের যে নামাজ কাজা হয়ে গেছে, ওই নামাজে তওবা করলে হবে; কিন্তু যে রোজাগুলো কাজা হয়েছে, যেগুলো আমার মনেও নেই, সেগুলোও কি তওবা করলে হবে? যদি রোজার ক্ষেত্রে এই তওবা না হয়, তাহলে এই রোজা আমি কীভাবে আদায় করব?

উত্তর : সমস্ত ইবাদতের ক্ষেত্রেই যেগুলো আল্লাহর হক, সবকিছুর ক্ষেত্রেই মূলত তওবা সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবে। এ ক্ষেত্রে তওবাটাই হচ্ছে বিধান। কারণ ইচ্ছাকৃতভাবে আপনি যে রোজাগুলো নষ্ট করেছেন, এটি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অনেক বড় হক নষ্ট করেছেন। সুতরাং, তওবাটাই হচ্ছে এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বর্তমানে আপনি অধিক পরিমাণে নফল রোজা আদায় করতে পারেন। যে রোজাগুলো আপনি আদায় করতে পারেননি, সেগুলোর জন্য নফল রোজা আদায় করবেন।

কিন্তু এই রোজার জন্য কাজা নিয়ত করার সুযোগ নেই। কারণ রোজা যেগুলো বাদ পড়েছে, সেগুলো কাজা হয়নি। সেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে আপনি নষ্ট করেছেন, কাজার কোনো সুযোগ নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের হক নষ্ট করাটা অনেক বড় জঘন্য অপরাধ। এমনকি এই কাজটি কুফরিও হতে পারে।

যদি কোনো ব্যক্তি জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর হক, ইবাদত নষ্ট করে থাকে, তাহলে এই কাজটি কুফরির পর্যায়েও পৌঁছতে পারে।

এ জন্য তিনি তওবা করবেন। তওবা করে এখন নফল ইবাদত করবেন। এখানে কাজার বিষয়টি আসবে না। কারণ আপনি তো কাজা করেননি, কোনো কিছু ছেড়ে দেননি, ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করেছেন।

সুতরাং নামাজ হোক, রোজা হোক বা অন্য কোনো ইবাদত, যেগুলোতে আল্লাহতায়ালার হক রয়েছে সেগুলো হোক, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তওবা করতে হবে এবং বেশি বেশি করে নফল রোজা ও অন্যান্য নফল কাজ করতে হবে। কিন্তু কাজা নিয়ত করা যাবে না। কারণ কাজার বিধান এখানে নেই।