আপনার জিজ্ঞাসা
খাবারের পাত্রের মাঝখানে কি বরকত নাজিল হয়?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২১৭৪তম পর্বে খাবারের পাত্রের মাঝখান থেকে খেতে হয় কি না, সে সম্পর্কে ঢাকা থেকে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দর্শক। অনুলিখন করেছেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : পাত্রের পাশ থেকে খাবার খেতে হয়, কারণ মাঝখানে বরকত নাজিল হয়, এই হাদিসটি কি সহিহ?
উত্তর : গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন। যেকোনো পাত্রের কাছের অংশ থেকে খাওয়ার বিষয়ে রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনা রয়েছে।
রাসুল (সা.) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে (রা.) লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে যুবক! প্রথমে আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর, বিসমিল্লাহ বলো, তোমার ডান হাতে খাও এবং যেই অংশ তোমার কাছে আছে সেখান থেকে খাও।’ অর্থাৎ দূর থেকে, এদিক সেদিক থেকে না।
রাসুল (সা.) খাওয়ার ব্যাপারে যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেটি হচ্ছে, পাত্রের কাছের অংশ থেকে খাওয়া।
আপনি যেই হাদিসের কথা উল্লেখ করেছেন, সেটি সঠিক। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বরকত মূলত খাবারের মাঝখানে অবতীর্ণ হয়। তাই বান্দাগণ খাবার মাঝখান থেকে, ডান থেকে, বাম থেকে না খেয়ে একপাশ থেকে খাবে। এটি খাবারের একটি আদব, সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা।
একটি গ্রুপ একসঙ্গে খেতে বসলে একেক জন যদি একেক পাশ থেকে খাওয়া শুরু করে তাহলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। যিনি যেই অংশে বসেছেন তিনি সেই অংশ থেকেই খেয়ে নিবেন। এই জন্য আল্লাহর নবী (সা.) এই আদবটুকু আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। এই আদবের মধ্যে মূলত অনেক সৌন্দর্য রয়েছে।
একসঙ্গে খেতে বসলে যদি এমন হয় একজনের পাশে গোশত বা ভালো তরকারি কম তখন বাকিরা তাকে সহযোগিতা করবে। এটিও রাসুলের আদবের মধ্যে পড়ে।
তাই খাবারের সময় পরস্পর বণ্টানে সহযোগিতা করতে হবে যাতে সবাই সমানভাবে খাবার খেতে পারেন। এই জন্য ইসলামে একসঙ্গে খাওয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে, এতে বরকত রয়েছে। এই বরকতের বিষয়টি সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে।