আপনার জিজ্ঞাসা

মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা কি ঠিক?

Looks like you've blocked notifications!

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। শরীফ বায়জীদ মাহমুদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ মতিউল ইসলাম।

বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ২৬তম পর্বে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা ইসলামসম্মত কি না, সে সম্পর্কে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখন করেছেন জহুরা সুলতানা।

প্রশ্ন : নবীজী বলেছেন, যারা মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে তাদের শাফায়াত (সুপারিশ) করব না। কিন্তু দেখা যায়, আমাদের দেশের কিছু মাদ্রাসার হুজুররা দোয়া করছেন, কোরআন শরিফ খতম করছেন, মৃত্যুবার্ষিকীতে তাদেরই মাদ্রাসার ছাত্রদের পাঠাচ্ছেন। এটা কীভাবে সম্ভব?   

উত্তর : মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা ঠিক নয়। আপনার মা-বাবার জন্য আপনি দোয়া করবেন বছরে একদিন না, প্রতিদিন এবং সবসময়।

আল্লাহুতায়ালা কোরআনে কারিমে বলেছেন, মানুষ মরে গেলে সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি কাজ চলতে থাকে। সেগুলো হচ্ছে- সদকায় জারিয়া, ইসলামিক জ্ঞান এবং নেক সন্তান যদি মা-বাবার জন্য দোয়া করে যায় তাহলে সেই দোয়া। আল্লাহতায়ালা এই দোয়া কবুল করেন।   

বাড়িতে হুজুর ডেকে আরবিতে দোয়া করতে হবে, তার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি নিজেই দোয়া করুন যে, আল্লাহ আপনি আমার মা-বাবাকে মাফ করে দিন, জান্নাত নসিব করুন, কবরকে প্রশস্ত করে দিন। এই সব দোয়া আপনি প্রতিনিয়ত করতেই থাকুন। তার সঙ্গে আল্লাহর শেখানো দোয়া তো আছেই।

কিন্তু কোরআন তিলাওয়াত করানো, খতম দেওয়ানো এগুলো ঠিক নয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, এই দিনের মধ্যে নতুন করে কেউ যদি নেক কাজ মনে করে কোনো কিছু করে যা আমি করিনি, সেটা বাতিল বলে বিবেচিত হবে।

আল্লাহ রাসুলের জীবনীতে, সাহাবায়ে কেরামের জীবনীতে এটা নেই যে, কেউ মারা গেলে এভাবে তাঁর জন্য কোরআন তিলাওয়াত করা হবে। তাই আপনিই আপনার মা-বাবা, আত্মীয়স্বজনের জন্য দোয়া করুন। এটি হচ্ছে সহিহ সুন্নাহ দ্বারা সমর্থিত।

মাদ্রাসার আলেমদের আমরা অনুরোধ করব সহিহ জ্ঞান দান করুন। যেটা ঠিক নয়, আল্লাহর রাসুল, সাহাবায়ে কেরাম করেননি সেই কাজটি আমরা করব না।