হজ ও ওমরা

যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের হজে যাওয়া কি ঠিক?

Looks like you've blocked notifications!

সামর্থবান মুসলমানের জন্য জীবনে একবার হজ পালন অবশ্য কর্তব্য। আমরা সব সময় চর্চা করি না বলে হজ পালন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা থাকে না। হজের শুদ্ধ পদ্ধতি, হজের প্রস্তুতি এসব বিষয়ে জানা আমাদের কর্তব্য । এলক্ষ্যেই এনটিভির বিশেষ অনুষ্ঠান ‘হজ ও ওমরা’। এ অনুষ্ঠানে হজ ও ওমরা সহ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে দর্শক প্রশ্ন করেন। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের মনে জাগা এসব প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।

‘হজ ও ওমরা’র প্রথম পর্বের অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন।

আজ প্রকাশিত হল ১ম পর্বের ১ম কিস্তি

 

উপস্থাপক : আত্মমানবতার সেবা ইসলাম ধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবাদত, আসুন আমরা এই বিষয়টি উপলব্ধি করি। প্রিয় দর্শক, কিছুদিন আগে আমরা পালন করেছি ঈদুল ফিতর, তার আগে আমরা পেয়েছিলাম মাহে রমজান। এ থেকে আমরা তাকওয়া, সংযমী, সংযত হতে দীক্ষা নিয়েছি। আর কিছুদিন পরে আমাদের সামনে উপস্থিত হবে অনন্য আরেক ইবাদত পবিত্র হজ।

সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য জীবনে একবার হজ পালন অবশ্যই কর্তব্য। চর্চা না করায় হজ পালনে সঠিক পদ্ধতির অবগতির অভাব থাকে। শুদ্ধ পদ্ধতি ও সঠিকভাবে হজ ও ওমরাহ পালন বিষয়ে আমাদের জানা অবশ্যই কর্তব্য বলে মনে করি। কয়েকটি পর্বে আমরা হজ ও ওমরাহ সম্পর্কে আলোচনা করব। সেখানে আপনাদের মনে জাগা প্রশ্নের জবাব দেবেন বিশিষ্ট আলেম, প্রিয় ব্যক্তিত্ব ড.মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

প্রশ্ন : আমি শুরুতে আপনার কাছে জানতে চাইব আপনি দীর্ঘদিন পবিত্র মক্কা ও মদিনা মনোয়ারায় ছিলে, এবং বহুবার হজ ও ওমরা পালন করেছেন,তো আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে হজ ও ওমরা সম্পর্কে আপনার অনুভূতি বা উপলব্ধিটা কেমন?

ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ : ধন্যবাদ আপনাকে। অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, হজ ও ওমরা নিয়ে যে প্রোগ্রামটি শুরু হচ্ছে বা করছি। প্রথমে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের শুকরিয়া আদায় করি। আল্লাহু সুবাহানাহুতাআলা যাঁদেরকে তাঁর ঘর ও জমজম কূপ পর্যন্ত পৌঁছানোর সুযোগ ও স্বচক্ষে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। যেটি ইসমাইল হাজেরাতু (আ.)মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহর জন্য যে জমজম কূপ প্রবাহিত হয়েছে সেটি দেখার সুযোগ পেয়েছেন সেটির কোনো সন্দেহ নেই। একজন ইমানদার ব্যক্তি যখন আল্লাহর এই নিদর্শনগুলো লক্ষ করবেন, প্রত্যেকটি নিদর্শনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইমানদারের অন্তরের মধ্যে এমনভাবে জাগ্রত করে দেবেন,যে সে উপলব্ধি করবে, সে যেন হযরত ইব্রাহিম (আ.) সেই সময়ে ফিরে যাচ্ছে এবং ফিরে যাচ্ছে সেই বর্ণনার দিকে যেটি সুরা হজের মধ্যে যখন আল্লাহ তাআলা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে ডেকে বললেন,(ওয়াজ্বিন ফিন নাসে বিল হজে ইয়াতুকা রিজালান ওয়ালা কুল্লে দামিরীন ইয়াতিনা মিন কুল্লে ফাজ্বিন আমিক)অর্থ :তুমি মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা প্রচার করো। তারা তোমার (আল্লাহর) কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে সাওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে। হজরত ইব্রাহিম (আ.) মনে মনে চিন্তা করছে যে এই খানে লোক কোথায়, এখানে তো কোনো মানুষ নেই,এটি একটি বিরানভূমি জনহীন এলাকা, যেখানে কোনো উৎপাদন নেই, ফসল নেই,জনবসতি নেই সেখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজের নির্দেশ দিচ্ছেন এবং তাই হয়েছে। আল্লাহু সুবহানাহু তাআলা যে ঘরটি কিয়ামত পর্যন্ত আগত আদম সন্তানদের জন্য প্রাণকেন্দ্র করেছেন। এবং (ইন্না আওয়ালা বাইতু উদইয়ালিন নাস ইলাল্লাতি বেবাক্কাতান মোবারাকান) এই মক্কা নগরীতে মোবারকময় ঘর, যেটি সর্বপ্রথম মানুষের এবাদতের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নির্মাণ করেছেন,সেই ঘরটি মূলত একটি বিশাল অনুভূতি মানুষের অন্তরের মধ্যে জাগ্রত করে। তাই একজন ইমানদার ব্যক্তি সেখানে যখন উপস্থিত হবে, সে সত্যিকার অর্থে আন্তরিক ও মানসিকভাবে এবং যেটি উপলব্ধি করবে এর চেয়ে ইমানের দাবি পূরণ হওয়ার আর কিছুই বাকি থাকে না। এটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা, যেটি সে অর্জন করবে।

প্রশ্ন : আমি সেলিমা রহমান বলছি,কলাবাগান থেকে। আমি হজ সংক্রান্ত দুটি প্রশ্ন করব। প্রথম : আমি গতবার হজে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পরে আমি বেশ কিছু সমস্যায় পড়েছি,সে জন্য আমি আপনাদের মাধ্যমে বাকি লোকদের জানাতে চাই,যাতে আমার মতো আর কোনো মুসলিম ভাই বিপদে না পড়ে। আমাকে প্রথমে বলা হলো আমরা মসজিদে হারামে নামাজ পড়ব না, হোটেলে পড়ব। আমি এইটা মেনে নিতে পারছিলাম না, যে এতদূর এসে আমি মসজিদে হারামে নামাজ পড়তে পারব না হোটেলে নামাজ পড়তে হবে, এইটা কেমন কথা। আমাদের যে মোয়াল্লেমরা নিয়ে যান, ওনারা আমাদের প্রচণ্ড মিস গাইড করেন।

দ্বিতীয়, আমরা তো অনেক রকম হজ করি, বিশেষ করে তামাত্তুম হজটা আমরা বেশি করি, এটার এহরামটা ঘর থেকে বেঁধে যাই,এই নিয়মটা আপনারা যদি সঠিকভাবে একটু বুঝিয়ে বলেন।

ড.মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ : ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি হজ করেছেন এবং আপনার প্রতি আমরা ধন্যবাদ এই জন্য জানাব যে আপনার এ চেতনা আমাদের অন্য ভাইরা যেন ভুল না করে। আসুন আমরা ভুল থেকে মুক্ত হয়ে আমরা শুদ্ধভাবে ইবাদত করার চেষ্টা করি এবং প্রথমে যে প্রশ্নটি করেছেন ওনারা যেবার হজে গিয়েছিলেন, সেখানে যে মোয়াল্লেম বা যাদের সাথে গিয়েছিলেন, তারা বলেছে আমরা মসজিদে হারামে নামাজ না পড়ে হোটেলে পড়ব, এটা কেন বললেন?

আসলে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেন, কিন্তু আল্লাহর ঘরে সালাত আদায় করতে পারলেন না এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কিছুই নেই। যে সমস্ত হজ এজেন্টসি ভাইরা রয়েছেন এজেন্টসির কাজ হচ্ছে মূলত ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব, এ এজেন্টসির এটা দায়িত্ব নয় যে তারা হজ বিষয়ে গাইড দেবে। কারণ, যদি তাঁরা গাইড দেন তাহলে কিন্তু তাঁদেরকে শরিয়াহর বিধানগুলো জেনেই গাইড দিতে হবে। সঠিকভাবে গাইড দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে অনেকে মনে করেন যে তাঁর যা জানা আছে, সেটাই যথেষ্ট এবং আন্দাজ-অনুমান এমনকি অজ্ঞতার কারণে এই ধরনের গাইড দিয়ে থাকেন যেটি ভুল। এই খানে যে মাসালাটি এসেছে, সেটি হচ্ছে মসজিদে হারামে মহিলারা সালাত আদায় করবে কি না? হ্যাঁ মহিলারা মসজিদে হারামেই সালাত আদায় করবে যেহেতু আল্লাহ্ রাসূল (সা.)-কে বেশ স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, (সালাতুল ফিল মসজিদুল হারামে তাহ্দুল রুব্বিয়াতে আলফিস্ সালাহ ফিমাসাওয়াহ) সহিহ হাদিসে এসেছে, মসজিদে হারামের মধ্যে যদি কোনো ব্যক্তি এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করে থাকে, তাহলে এক লাখ সালাত আদায়ের সমান সওয়াব পাবে। সুতরাং যিনি মাসজিদুল হারাম পর্যন্ত গেলেন কিন্তু সালাত আদায় করতে পারলেন না অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে সে ঘরের মর্যাদা দেওয়ার জন্যই ডেকেছেন। তবে বোনদের জন্য সেখানে অবশ্যই পর্দা এবং শালীনতা বজায় রেখে নামাজ আদায় করতে হবে। অন্যথায় সেখানে যেমন বেশি সওয়াব অর্জন করা যায়, তেমনি শালীনতা ভঙ্গের কারণে অপরাধও বেশি হবে।

তামাত্তু হজ যাঁরা করবেন, তাঁরা মূলত ঘর থেকে এহরাম করবেন না। এহরাম করবেন মিকাত থেকে, এহরামের সুন্নাতু মিকাহ্ হচ্ছে ঘর থেকে অথবা এয়ারপোর্ট থেকে এহরাম করবেন না। কারো যদি আশঙ্কা বোধ করেন যে তিনি এহরামের কথা ভুলে যেতে পারে, তাহলে তিনি এহরামের কাপড় পরে নিতে পারেন। তবে তাঁকে এহেরামের নিয়ত করতে হবে মিকাতের কাছাকাছি যাবেন অথবা মিকাত অতিক্রম করার পূর্বে এটা হচ্ছে সুন্নাতুল মিকাহ্। প্লেনের দ্রুততার কারণে এহরামের নিয়ত করার ভুল হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ তাঁরা বলেন দেয় আমরা ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে মিকাত পৌঁছে যাব। আপনাকে হজে আসওয়াদ দেখলে দোয়া করতে হবে না, তবে হজে আসওয়াদ থেকে যখন এহরাম শুরু করবেন, তখন বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে আপনি তাওয়াফ শুরু করবেন এবং হজরে আসওয়াদের কোণ থেকে তাওয়াফ শুরু করা হচ্ছে রাসুল (সা.)-এর সুন্নাত।

প্রশ্ন: আসসালামু আলাইকুম, আমি মগবাজার থেকে (মধু?) মুনিরা আক্তার বলছি,  প্রথম, আপনারা তো আজকে হজের কথা বলছেন। কিন্তু আমার জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে যে ছয় রোজা যে আমরা করি এটা তো আপনারা সক্ষি রোজা বলেন, এই রোজাটা কি আমি না করলে আমি এই ফরজ রোজার সওয়াব পাব না?

দ্বিতীয় : এটা কি ভেঙে করলে বেশি সওয়াব, নাকি টানা করলে বেশি সওয়াব এইটা, আর আমরা যে মোনাজাত করি এবং মোনাজাতের পরে যে মুখে হাত বুলাই এটা কি বেদাত নাকি এটা করা যাবে না।

ড.মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ :  খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন, এটাকে সক্ষি রোজা বলা শুদ্ধ নয়। এই নামকরণ কোনো হাদিসের মধ্যে আসেনি অথবা সফি সালিহিনের বক্তব্যের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয়নি, এটা হয়তো কেউ গবেষণা করেছেন এসতেহাত করেছেন নিজেস্ব ব্যক্তিগত বিষয়। এটি মূলত শাওয়ালের ছয় রোজা। এটি শাওয়াল মাসে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ্। বিশেষ করে ছয় রোজা যদি কেউ না করেন তাহলে রমজান মাসের সিয়ামের যে ফজিলত রয়েছে, সেখান থেকে তিনি মাহরুম হবেন না, সে সওয়াব তিনি পাবেন। তবে রাসুল (সা.) যেহেতু সহি মুসলিম হাদিসের মধ্যে বলেছেন (ফাকাআন্না মাসমাদ দাহার) অর্থাৎ মনে হলো সে পুরা জীবন সিয়াম পালন করল। কেউ যদি এটা না করে তাহলে এই ফজিলত থেকে তিনি মাহরুম হয়ে গেলেন, যেহেতু রাসুল (সা.) এটাকে তাক্কায়িদ করেছেন। এটাকে আপনি ভেঙে ভেঙে রাখতে পারেন, এক সঙ্গে রাখতে পারেন, দুটোই জায়েজ রয়েছে। তিনি যদি এর কম করেন তাহলে সে সওয়াব পাবেন না শুধুমাত্র রোজা রাখার সওয়াব পাবেন, যেহেতু সেই ফজিলত পাওয়ার সঙ্গে ছয় রোজার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

আর মুখে হাত বোলানো যে হাদিসটি রয়েছে অধিকাংশ তাহকিক মহাকিক ওলামায়ে কেরাম জায়িফ বা দুর্বল বলেছেন। সুতরাং মুখে হাত বোলানোর বিষয়টি যেহেতু সহি হাদিসে সাব্যস্ত হয়নি, উত্তম হচ্ছে সেটাকে পরিহার করা।

প্রশ্ন : আমি মাজহার বলছিলাম বসুন্ধরা থেকে, আমার প্রশ্নটা হলো আমি তো এই দেশে দীর্ঘদিন ছিলাম, আমি হজ প্রজেক্টে দুবার দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দেখেছি আমাদের দেশে যে সমস্ত লোক হজে যাচ্ছেন, বিশেষ করে যাঁদের বয়স একটু বেশি, তাঁরা  হজে যাচ্ছেন, আমার মনে হয় না তাঁরা হজের আহকামগুলো ঠিকমতো করতে পারেন। এমনও লোক আমি দেখেছি অতিরিক্ত বয়স্ক। এই বয়সের দিকটা কি আমাদের সরকারের একটু চিন্তাভাবনা করা উচিত না? আর আমি এমনও দেখেছি, মুজদালিফায় তাঁর মানসিকভাবে স্মরণশক্তি হারিয়ে যায়। এভাবে যদি যায় আমাদের দেশ থেকে, তাহলে তো অনেক সমস্যা হয়, এ ব্যাপারে আপনাদের একটু মতামত জানতে চাই।

ড.মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ : ভাই সঠিক কথাই বলেছেন। তবে এখন যদি আমরা দেখি তাহলে আগে যে মানুষের মধ্যে যে কনসেপ্ট ছিল তা এখন চেঞ্জ হয়েছে। এখন যে ব্যক্তিরা যাচ্ছে, মোটামুটি বয়সের মধ্যে বা সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা যাচ্ছে। মানে আগে যে কনসেপ্টটা ছিল, এটা মূলত খুব দ্রুত চেঞ্জ হচ্ছ। উনি হয়তো পাঁচ-সাত বছর আগের কথা উল্লেখ করেছেন।  দ্বিতীয় নম্বর কথা হচ্ছে সরকারের জন্য এটি জায়েজ নেই যে সরকার এটার জন্য কোনো বয়স নির্ধাণ করে দেবে। যদি এটা করেন তাহলে তিনি হজের ক্ষেত্রে বাধা দিলেন। সে ক্ষেত্রে সরকারের একটা নিয়ম আছে, তা হচ্ছে সে যে সফর করবে এই সফর করার জন্য তার মেডিকেল ফিডনেস কতটুকু আছে। সেটি সরকার ডাক্তারের মাধ্যমে এই কাজটি করে থাকেন, এই টা সঠিকভাবে হয়ে তাহলে উনি যেটা বলেছেন, যেমন যাদের মানসিক সমস্যা আছে এই রকম লোক আমরা দেখেছি, স্মরণশক্তি মানুষের বয়সের কারণে কমে যেতে পারে। আর যাঁরা একেবারে মায়াদুর, তিনি চলাফেরা করতে পারেন না, এদের যদি সরকারিভাবে আনফিট দেখিয়ে থাকে এবং বলা হয়ে থাকে যাওয়াটা আপনার জন্য ক্ষতিকর, আপনি যেতে পারবেন না এবং হজও করতে পারবেন না। তাহলে এটি করা সরকারের জন্য জায়েজ রয়েছে এবং করতে পারে। এবং সেটা সুষ্ঠভাবে করার জন্য আমরা সরকারকে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি যেহেতু তাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে। এটা বাংলাদেশি জনগণের জন্য বাংলাদেশি মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ করে যেসব হাজিসাহেব রয়েছেন, তাঁদের জন্য।

তিন নম্বর যে পয়েন্টটি রয়েছে, সেটি হচ্ছে আসলে হজের আহকামগুলো যথাযথভাবে পালন করার বিষয়টি হচ্ছে দুটি জিনিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রথমটি হচ্ছে হজের আহকামগুলো জানার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর একটি হচ্ছে হজের আহকামগুলো জানার জন্য সার্বিক সামর্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই দুটা বিষয় মূলত আমাদের জনগণের মাঝে আমাদেরই সচেতনতা তৈরি করতে হবে।