আপনার জিজ্ঞাসা
আওয়াবিনের নামাজ পড়া কি বেদাত?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২১৮৭তম পর্বে আওয়াবিনের নামাজ পড়া বেদাত কি না, সে সম্পর্কে খাগড়াছড়ি থেকে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন মো. মিজানুর রহমান। অনুলিখন করেছেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমার মা মাগরিবের নামাজের পর আওয়াবিনের ছয় রাকাত নামাজ পড়েন। আমি জানি, কোরআন-হাদিসে এই নামাজের কোনো ভিত্তি নেই। কিন্তু মা আমার কথা শোনেন না। এটি যদি বেদাতের পর্যায়ে যায়, তাহলে কীভাবে মাকে বিরত রাখব?
উত্তর : মাগরিবের নামাজের পরে আওয়াবিনের নাম দিয়ে যে ছয় রাকাত নামাজ পড়া হয়, এটি রাসুলের (সা.) হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি।
তবে কোরআন ও হাদিসে এর কোনো ভিত্তি নেই, এই বক্তব্য শুদ্ধ নয়। হাদিসে এই নামাজের বর্ণনা রয়েছে, কিন্তু সেটি সনদের দিক থেকে খুবই দুর্বল, গ্রহণযোগ্য নয়।
সেক্ষেত্রে তিনি নফল নামাজের নিয়ত করে ছয় রাকাত বা আট রাকাত নামাজ পড়তে পারেন, সেটিই উত্তম হবে। সালফে সালেহীনদের আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা মাগরিব এবং এশার ওয়াক্তে নফল নামাজ আদায় করতেন। তাই এই দুই ওয়াক্তে যদি কেউ নফল নামাজ পড়তে চান তাহলে পড়তে পারেন, এটি জায়েজ রয়েছে।
কিন্তু এটি তখনই বেদাত হবে যখন নির্দিষ্ট করে নেওয়া হবে। যিনি মাগরিব এবং এশায় সালাতুল আওয়াবিন নাম দিয়ে ছয় রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করবেন তিনি বেদাতের খাতায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন।
এ ক্ষেত্রে সুন্দর করে আপনি আপনার মাকে বোঝাতে পারেন। আপনি বলবেন এই নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা নেই কিন্তু নাম দিয়ে রাকাত নির্দিষ্ট করে পড়া যাবে না।