হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা

Looks like you've blocked notifications!
ফাইল ছবি

৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের অন্যতম ফরজ। সূর্যোদয়ের পর থেকেই মিনায় অবস্থানরত ৩০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান আরাফাতের ময়দানে যেতে শুরু করেন।

সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর খুতবা পেশ করেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ। দীর্ঘ এ খুতবায় তিনি মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন।

গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, কুরআন হাদিসের মূলনীতির ভিত্তিতে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর রুজ্জুকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে। মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে মনোনিবেশ করতে হবে। মুসলমানদের ঈমান-আকিদা রক্ষার্থে সর্বদা আল্লাহর ওপর ভরসা এবং ইবাদত বান্দেগির মাধ্যমে দিনাতিপাত করতে হবে।

মুসলিম উম্মাহর নেতাদের উদ্দেশে গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, সার্বক্ষণিক আল্লাহর ভয় অন্তরে জাগ্রত করে ইনসাফ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। আল্লাহর দেওয়া আমানতগুলো রক্ষা এবং আল্লাহকে ভয় করে যার যার অবস্থানে থেকে অর্পিত দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ উত্তম প্রতিদানকারী।

লাখ লাখ হাজির উদ্দেশে আব্দুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ বলেন, ‘হে মুসলিম ভাইয়েরা, তোমরা আল্লাহর দরবারে দৃঢ় চিত্তে শুকরিয়া আদায় কর যে তোমরা আজ আরাফাতের ময়দানে শামিল হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছ।’ এ সময় তিনি মুসলমান নামধারী সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আজ টার্গেট করেছে আমাদের মুসলিম যুব সমাজকে। ওদের হাত থেকে রেহাই পায় না মসজিদ ও অবুঝ শিশু। যুব সমাজের মন-মগজ ধোলাই করে তাদের বিপথগামী করছে। হে যুব সমাজ, তোমরা তোমাদের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে দেশ ও মুসলিম জাতি গঠনে এগিয়ে আস।’

খুতবায় শরণার্থীদের উদ্দেশে এ ধর্মীয় নেতা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ কর। তওবা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের জমিন তোমাদের হাতে ফিরিয়ে দেবেন।’ ওই সময় কঠোর নিরাপত্তা ও সুন্দর পরিবেশে হজ আয়োজনের জন্য সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিন, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলমানপ্রধান দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন।