আপনার জিজ্ঞাসা
মোবাইলে বিয়ে করা কি বৈধ?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম মো. রফিকুল ইসলাম আল-মাদানী।
আপনার জিজ্ঞাসার ২২৭১তম পর্বে মোবাইলে বিয়ে করা জায়েজ কি না, এ বিষয়ে মেইলে ফ্রান্স থেকে জানতে চেয়েছেন মো. জাফরুল হাসান। অনুলিখন করেছেন জান্নাত আরা পাপিয়া।
প্রশ্ন : আমি মোবাইলের মাধ্যমে আমার এক বন্ধুর বোনকে পছন্দ করে বিয়ে করি। প্রথমে আমার পরিবারের কারোর এই বিয়েতে মত ছিল না। পরে আম্মা রাজি হন। বিয়েতে বাংলাদেশে আমার আম্মা, শ্বশুর, আমার ছোট ভাই ও মেয়ের বড় বোন কাজি অফিসে উপস্থিত ছিলেন। আমি ফ্রান্সে থাকি, আমার কাছে কেউ উপস্থিত ছিল না। ফোনে আমাকে বলা হয়েছে, আমি কি এই বিয়েতে রাজি? আমি বলেছি রাজি, তারপর কবুল বলেছি, আমার স্ত্রীও কবুল বলেছেন। এখন আমার প্রশ্ন হলো, আমার বিয়ে কি বৈধ হয়েছে? কাবিনের কাগজে এখনো আমি স্বাক্ষর করিনি। এমতাবস্থায় আমরা কি একে অপরের জন্য হালাল হয়েছি?
উত্তর : আপনার বিবাহের আপনি যে প্রক্রিয়া উল্লেখ করেছেন, তাতে আপনার স্ত্রীর পক্ষে আপনার শ্বশুর বা তাঁর আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। যেহেতু মেয়ের পক্ষে অভিভাবক ছিল, সেহেতু বিবাহ বৈধ। কারণ, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যদি কোনো মেয়ে তার অভিভাবক উপেক্ষা করে বিবাহ করে, তাহলে সে বিবাহটি বাতিল।’ ছেলের পক্ষের যদি কোনো অভিভাবক অসম্মত থাকে, সেটা সামাজিক দিক থেকে নিন্দনীয় হলেও হালাল বা বৈধতার দিক থেকে মোটামুটি ঠিক আছে।
মেয়ের পক্ষে যেহেতু বাবা ছিল, সেহেতু বিবাহটি বৈধ। আর কাবিনের যে কথাটি আপনি উল্লেখ করেছেন, কাগজে স্বাক্ষর করা বা রেজিস্ট্রিভুক্ত হওয়া এটি আধুনিক বিষয়। শৃঙ্খলার জন্য এটি এসেছে।
হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কেবল আল্লাহকে সাক্ষী রেখে তাদের বৈধ করে নিয়েছ।’ অতএব, শরিয়তের পন্থায় বিবাহ হয়ে গেছে। মোবাইলের মাধ্যমে হোক, তাতে সমস্যা নেই।