হজে গিয়ে বাংলাদেশির মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৭
চলতি বছর সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২৭ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী রয়েছেন। আজ বুধবার (১৯ জুন) হজ পোর্টালের হেল্পডেস্কের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের মক্কা, মদিনা, জেদ্দা ও মিনায় ২৭ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন মক্কায়, চারজন মদিনায়, দুজন মিনায় ও একজন জেদ্দায় মারা যান। সর্বশেষ বুধবার (১৯ জুন) ফরিদা ইয়াসমিন (৫৩) নামে একজন মারা যান। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে।
এ বছর হজের আগে ও পরে মারা যাওয়া বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হলেন- ঢাকার বংশালের মনির হোসেন (৫৯), কিশোরগঞ্জের ফরিদা ইয়াসমিন (৫৩), পিরোজপুরের নার্গিস (৬০), ঢাকা নিউ মার্কেটের আমিনুল ইসলাম (৬৫), নোয়াখালীর মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৮), রংপুরের সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিক তোফাজ্জল হক (৭০), ঢাকা মোহাম্মদপুরের রওশন আরা বেগম (৭২), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রেজাউল করিম মন্ডল (৬১), টাঙ্গাইল সদরের আলমগীর হোসেন খান (৭৩) ও কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুফিয়া খাতুন (৬২)। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মো. শাহ আলম (৭৭), রংপুরে তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১)।
এ ছাড়া কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কুমিল্লার কোতোয়ালির আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান খান (৬৩), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০)।
এবার ৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২১৮টি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১০৬টি, সৌদি এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৭৫টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট ৩৭টি। এসব ফ্লাইটে সর্বমোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন।
দেশে ফেরার সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস অর্ধেক হজযাত্রী পরিবহণ করবে। বাকি অর্ধেক পরিবহণ করবে সৌদি এয়ারলাইনস ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।