দৃষ্টিনন্দন গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ মসজিদ

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর বাইতুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ, নির্মাণশৈলির দিক থেকে দেশের জনপ্রিয় ১০টি মসজিদের একটি এই মসজিদ, সুউচ্চ চার মিনারের ব্যতিক্রমধর্মী এই মসজিদের নির্মাণশৈলী মুঘল সাম্রাজ্যের স্মৃতি বহন করে। স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ।
শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ক্যালিওগ্রাফি ও নির্মাণ কৌশল, মসজিদের চার কোনায় চারটি মিনার রয়েছে। মিনারগুলোর উচ্চতা ৮০ ফুট। এতে গম্বুজ রয়েছে সাতটি। মসজিদটি ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট।
মুঘল স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত মসজিদটি ইসলামি ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। সাত গম্বুজবিশিষ্ট নানা কারুকার্যখচিত এক অনন্য বৈশিষ্ট্যের এই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এ ছাড়াও এই মসজিদে সকাল বেলায় বাচ্চাদের কুরআন শিক্ষা দেওয়া হয়।
মুঘল-তুর্কি ও পারস্যের সংমিশ্রণে কারুকার্য করা এ মসজিদটির বাহ্যিক ও অভ্যন্তরের নির্মাণশৈলী মুসল্লি-দর্শনার্থীদের মোহিত করে। মসজিদটির অপার সৌন্দর্য এখন পর্যটকদের মন কেড়েছে, মুঘল, তুর্কি ও পারস্য ঘরানার কারুকাজে নির্মিত মসজিদটি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায়। সশরীরে দেখতে, যেতে হবে উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমের গুণাইঘর গ্রামে।

এই মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেক পর্যটক আসে। এ মসজিদটি তৈরি করেছেন দেবিদ্বারের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। এটি তৈরি করতে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থদাতাদের নাম পাথরের ফলকে লেখা আছে। ২০০২ সালের ১০ জুলাই মসজিদটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী। ২৮ জন শ্রমিক টানা প্রায় আড়াই বছর ধরে এই মসজিদটির কাজ করে শেষ করে। ২০০৫ সালের ১৪ জানুয়ারি মসজিটি প্রায় শতাধিক মুসুল্লি নিয়ে নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্রে দেবিদ্বারের নামটি বিশেষভাবে স্থান দেয়ার জন্য এ মসজিদটি তিনি নির্মাণ করেন।