রম্য

গুগল হিরো আলমকে চিনতে পারেনি?

Looks like you've blocked notifications!

সম্প্রতি গুগল ট্রেন্ডসের ওয়েবসাইটে ট্রেন্ডিং সার্চের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, দেশে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে অভিনেত্রী সাবিলা নূর ও মিয়া খলিফাকে। তবে শীর্ষ ১০ তালিকায় নাম নেই হিরো আলমের। এর সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরেন হিরো আলমের অন্যতম ফ্যান অ্যাঞ্জেল জরিনা। আর যথারীতি ফালতু প্রশ্নগুলো করেছে হাস্যরস।

হাস্যরস : জরিনা আপা, মন কি খুব খারাপ?

অ্যাঞ্জেল জরিনা : জি ভাই। দেখেন না, চোখের নিচে কালো দাগ।  গুগলের তথ্য প্রকাশের পর থেকেই খাওয়া-দাওয়া সব বন্ধ হয়ে গেছে। দুই রাত ঘুমাতে পারছি না। গুগল কীভাবে এত বড় ভুল করে বলুন তো?

হাস্যরস : আমি তো ভাবছিলাম, মেকআপ করেননি বলেই চোখের নিচের কালো দাগ বোঝা যাচ্ছে। তবে আপনার কী মনে হয়? এই সর্বাধিক সার্চ করা ১০ জন মানুষের তালিকায় হিরো আলম কত নম্বরে থাকতেন?

অ্যাঞ্জেল জরিনা : ভাই, আপনিও মজা করছেন? চোখ বন্ধ করেই তো বলে দেওয়া যায়, আমার ফেভারিট হিরো আলম এক নম্বরে থাকার কথা।

হাস্যরস : দুঃখিত আপা। আমি ওভাবে বলিনি। তাহলে গুগল কি হিরো আলমকে চিনতে পারেনি।

অ্যাঞ্জেল জরিনা : না, গুগল হিরো আলমকে চিনতে পারেনি। বেচারা এমনিতেই ডার্ক ম্যাটার। তাই অন্ধকারে গুগল চোখে দেখতে পায়নি।

হাস্যরস : আচ্ছা জরিনা আপা, আলম ভাইয়ের লিস্টে নাম না থাকার পেছনে কী কারণ থাকতে পারে বলে মনে করেন?

অ্যাঞ্জেল জরিনা : অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন—বেশিরভাগ ভক্তই তাঁকে ‘হিরু আলম’ দিয়ে সার্চ করে। কেউ আবার আসল নাম ‘আশরাফুল আলম’ দিয়ে সার্চ করে থাকে। কিন্তু তার মিডিয়ার আসল নাম ‘হিরো আলম’।  মানে নায়ক আলম। সব সার্চের যোগফল করা হলে ধারেকাছে কেউ আসতে পারত না।

হাস্যরস : আপনি বলতে চাইছেন বিভিন্ন নামে সার্চ করার জন্য তাঁর নাম না এসে থাকতে পারে। আর কী কারণ থাকতে পারে?

অ্যাঞ্জেল জরিনা : আর একটা কারণ ‘ভাইরাল ভাই’ গানটি। গানটিতে আলমের কো-আর্টিস্ট হিসেবে সাবিলা নূর আর নায়লা নাঈম কাজ করার সুযোগ পান। মূলত আলমের ভক্তরা তাঁর জন্যই এ গান অনেক ভিউ করেন। কিন্তু মাঝখান থেকে সাবিলা নূর পরিচিতি পেয়ে যান।

হাস্যরস : তা না হয় বুঝলাম জেরি। তবে মিয়া খলিফাসহ অন্যরা তো তাঁর কো-আর্টিস্ট নয়। তাঁরা কীভাবে জায়গা করে নিল বলে মনে করেন?

অ্যাঞ্জেল জরিনা : দেখুন, সময়ই সব বলে দেবে। ছি! মিয়া খলিফার কো-আর্টিস্ট হওয়ার আগে যেন আলম নয়তো আমার মরণ হয়। তবে হিরো আলমের যে জনপ্রিয়তা, তাতে সে যদি মিয়া খলিফার কো-আর্টিস্ট হয় ভবিষ্যতে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

হাস্যরস : তো, সার্চে জায়গা না পাওয়ায় ভক্তদের করণীয় কিছু আছে কি?

অ্যাঞ্জেল জরিনা : আপনারা সকলেই জানেন ফেসবুকে হিরো আলমের জনপ্রিয়তা। তাই আমরা ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকেই হিরো আলমের ছবি ফেসবুক প্রোফাইলে রেখে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেইসঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হবে।

হাস্যরস : ১৬ ডিসেম্বরের পর কেন?

অ্যাঞ্জেল জরিনা : দেখুন, সারা বছরে মাত্র কটা দিন দেশকে স্মরণ করার সময় পাই। এ সময় অন্য ফ্যানদের বিরক্ত করা ঠিক হবে না। বিজয় দিবস গেলেই আবারও হিরো আলম, সাবিলা নূর নিয়ে মেতে উঠব। তাড়াতাড়ি শেষ করেন, আমার বিজয় দিবসের ভ্যানিটি ব্যাগ অর্ডার করেছি, আজই দেওয়ার কথা।

হাস্যরস : জি হ্যাঁ, ধন্যবাদ।