রম্য
ফুটবলের কার্ড যখন বাস্তব জীবনে
ফুটবল খেলায় হলুদ কার্ড, লাল কার্ডের ব্যবহার রয়েছে। এসব কার্ড যদি সরাসরি মানুষের জীবনে প্রয়োগ করা হতো, তবে কেমন হতো? প্রশ্ন নয়, উত্তর জানাচ্ছেন হাস্যরস প্রতিবেদক।
হলুদ কার্ড
ছেলে যখন বড় হয়, তখন মা-বাবার চিন্তা বাড়ে। ছেলে কাজকর্ম কিছু না করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর খামাখা ঘোরাঘুরিতে সময় কাটালে বাবা তাকে শাসন করেন। শাসনের প্রথম পর্যায়ে ছেলেকে হুঁশিয়ারি দেন বাবা, ‘কাজকর্ম কিছু করো। নইলে ঘরে খাবার পাবে না।’ এই শাসনকে ‘হলুদ কার্ড’ দেখানো বলা যেতে পারে।
লাল কার্ড
এরপরও যখন ছেলে কাজকর্মে মনোযোগী হয় না, তখন আসে বাবার শাসনের চরম পর্যায়। বাবা বলেন, ‘টো টো করে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া তোমার কোনো কাজ নেই। আজ থেকে আর এ ঘরে তোমার জায়গা নেই।’ এটাকে ‘লাল কার্ড’ বলা যায়।
হলুদ কার্ড
প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়া আবার মিটমাটও হয়। মিটমাটের সময় প্রেমিকা হয়তো প্রেমিককে বলেন, ‘আর যদি তুমি এমন করো, তবে তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকবে না।’ এটা হচ্ছে ‘হলুদ কার্ড’।
লাল কার্ড
ঝগড়া হতে হতে সম্পর্ক যখন তিক্ত হয়ে ওঠে, তখন প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ওই পর্যায়ে প্রেমিকা হয়তো প্রেমিককে বলেন, ‘তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তুমি আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো না।’ এটা হচ্ছে ‘লাল কার্ড’।
হলুদ কার্ড
অধস্তন কর্মচারী যখন অফিসে ঠিক সময়মতো আসেন না, ঠিকমতো ফাইলপত্র দেখেন না, তখন তাকে ডেকে পাঠান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দেওয়া হয় অধস্তন কর্মচারীকে সতর্ক সংকেত। এই সংকেত হচ্ছে ‘হলুদ কার্ড’। মানে ‘আপনি ঠিক হয়ে যান, নইলে খবর আছে।’
লাল কার্ড
হলুদ কার্ড দেখার পরও যখন অধস্তন কর্মচারী ‘লাইনে’ আসেন না, তখন তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয় ব্যবস্থা; করা হয় শোকজ; চাকরিও যায় অনেকের। এই ব্যবস্থা হচ্ছে ‘লাল কার্ড’।