ফুটবল রম্য
রাতারাতি দল বদলের হিড়িক
নির্বাচনের বছরকে ঘিরে দল পরিবর্তনের একটা প্রভাব পড়ে দেশের রাজনীতিতে। ঠিক তেমনিভাবেই ফেভারিট দলগুলোর বাজে পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই বিশ্বকাপে রাতারাতি সমর্থন পরিবর্তন করছেন এবং তা করতে গিয়ে লাঞ্ছনার স্বীকার হচ্ছেন। এসব থেকে বাঁচতে হাস্যরসের টিপস :
১. নতুন পতাকা উড্ডয়ন
রাতারাতি আপনার পতাকার পাশে নতুন সমর্থিত দলটির পতাকা টাঙিয়ে সকলকে জানান দিন, আসলে আপনার প্রেমিকার প্রিয় দল হওয়ায় পূর্বের পতাকাটি টাঙিয়ে ছিলেন। সকলকে বলুন, আপনি আপনার প্রেমের পরীক্ষা দিতেই এমনটি করেছেন। তাহলে হয়তো টিটকারি দাতাদের সিমপ্যাথি কাজ করবে।
২. স্ত্রীর অজুহাত দিয়ে বাঁচুন
বলা হয়, মানুষের তিন নম্বর হাত অজুহাত। সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর দোহাই দেওয়া স্বামীদের নিত্যদিনের কাজ। সকলকে বলুন, বিশ্বকাপের শুরুর আগ থেকে বিশাল রাগারাগি ও অভিমান চলছে। তাই তার অভিমান ভাঙাতেই বাধ্য হয়ে স্ত্রী সমর্থিত দলকে সাপোর্ট করতে হয়েছে। নতুবা…
৩. ফেসবুকের আশ্রয় নিন
ধরুন আপনি আর্জেন্টিনা থেকে ব্রাজিল দলের সাপোর্টার হয়েছেন। ফেবুতে এ রকম স্ট্যাটাস দিন যে, ‘আমি ব্রাজিল দলের বড় একজন ভক্ত,তাই বিশ্বকাপ চলাকালীন আর্জেন্টাইন সমর্থক হ্যাকার আমার আইডি হ্যাক করেছিল।’ সঙ্গে সঙ্গে প্রোফাইল, কভার ফটো এবং টাইমলাইন ব্রাজিল দলের ছবি দিয়ে পরিপূর্ণ করুন। এতেও যদি শেষরক্ষা হয়।
৪. বাজিতে হেরেছিলেন বলে
বলতে পারেন যে বিশ্বকাপের পূর্বে বন্ধুর সঙ্গে কোনো এক বাজিতে হেরে গেছেন। শর্ত ছিল, বিশ্বকাপে ওই বন্ধুর দলকে সাপোর্ট করতে হবে। শর্ত মানতে গিয়ে এত দিন অন্য দলকে সাপোর্ট করেছেন। কিন্তু বিবেকের তাড়নায় আজ বাজির শর্ত ভাঙতে হলো।
৫. হঠাৎ দেশপ্রেমিক হয়ে যান
আপনার দল পরিবর্তন নিয়ে অতিরিক্ত টিটকারির স্বীকার হয়ে থাকলে হঠাৎ নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করুন। বলতে পারেন যে আমরা অহেতুক চার বছর পর পর এসব আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল নিয়ে পড়ে থাকি অথচ এই ভালোবাসার যদি অর্ধেকটাও দেশের ফুটবলকে দিতাম, তারাও আজকে বিশ্বকাপ খেলত। হতে পারে আপনার এ রকম কথায়, বিপরীত পক্ষের টিটকারিদাতারা কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যাবে। সেই ফাঁকে আপনি স্থান ত্যাগ করুন।