রম্য
ঈদ টিকেটের আত্মকথা
আমি ঈদে গন্তব্যে পৌঁছার টিকেট। তাই মানুষের যাত্রার সঙ্গী আমি। আমি নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি, কারণ লোকে তাদের প্রিয়তম ছবির মতন ম্যানিব্যাগের এক কোণায় আমায় সংরক্ষণ করে। তবে যখন গন্তব্যে পৌঁছানোর পর আমায় ছুঁড়ে ফেলে দেয় তখন নিজেকে ছ্যাকা প্রাপ্ত কবি মনে হয়।
আবার খুব আনন্দিত হই এই দেখে যে,আজকাল আমাকে পাবার আশায় মেয়েরাও সারারাত স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। সম্ভবত সালমান খান এই বয়সে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও এতটা ভিড় হবে না।
অনেকে বলেন ব্লাক টিকেট কালো হয় না কেন? আমি বলি, যদি কালোবাজারিদের চেহারা কিংবা কালো টাকা ফর্সা হয় তবে ব্লাকটিকেট কালো হতে হবে কেন?
অনেকেই বলেন, ঈদে টিকেট যেন সোনার হরিণ।
তাদের কাছে অনুরোধ ভাইরা প্লিজ এসব বলে আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে পাঠাবেন না।
আমার লাইফে সব থেকে বড় শত্রু রেলওয়ে টিটিই কিংবা বাসের সুপারভাইজার। কেননা তারা সর্বদা আমার শরীরে কালো দাগ এটে দেয়।
আমার লাইফে মজার ঘটনা বলতে, অধিকাংশ তরুণই আমাকে কেনার পর তার পাশের সিটে কোনো এক সুন্দরী রমণীকে কল্পনা করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার উল্টোটা ঘটে।
পরিশেষে, আমি মানুষকে সর্বত্র যাওয়ার অগ্রিম ব্যবস্থা করে দিতে পারলেও স্বর্গে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে অক্ষম।