রম্য
নির্বাচনে ব্যাচেলরদের ৭ দফা দাবি
বাংলাদেশে এখন জাতীয় নির্বাচনের ডামাডোল। এই নির্বাচনে বিভিন্নজন নানা দাবিদাওয়া পেশ করছেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি। ব্যাচেলদেরও কিছু দাবিদাওয়া আছে। দাবিগুলো বিস্তারিত জানাচ্ছেন হাস্যরস প্রতিবেদক।
দাবি নং ১ : যেসব বাসাবাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়, সেগুলোতে ৩০ শতাংশ ব্যাচেলর কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যাচেলররা বাসা ভাড়া নিতে গেলে ‘এটা ফ্যামিলি বাসা’, ‘আপনি কি বিয়ে করেছেন?’, ‘ফ্যামিলি ছাড়া ভাড়া হবে না’ প্রভৃতি কথা বলতে পারবেন না মালিকরা।
দাবি নং ২ : ব্যাচেলর মানেই ছোটখাটো চাকরি কিংবা চাকরি খোঁজা। এ জন্য প্রতিটি ব্যাচেলরের জন্য উপযুক্ত বেতনের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।
দাবি নং ৩ : যেসব ব্যাচেলর মেসে থাকেন, তাদের জন্য কাজের বুয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু পর্যাপ্ত বুয়ার সংকুলান না থাকায় একেক বুয়া একাধিক মেসে কাজ নেন। ফলে কোনো মেসেই তারা পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। এ বিষয়ে কিছু বলতে গেলেই বুয়ারা কাজ ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আগামীতে নির্বাচিত সরকারকে প্রত্যেক মেসে একজন করে বুয়া সরবরাহ করার ঘোষণা দিতে হবে।
দাবি নং ৪ : যেসব ব্যাচেলর বেকার, তাদের পকেট খালি থাকায় পাড়ার মোড়ে চা খেতে পারে না, প্রেমিকার সঙ্গে ডেটিংয়ে যেতে পারে না। এ জন্য চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত বেকার ব্যাচেলরদের সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে যেতে হবে।
দাবি নং ৫ : ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিলে মালিকরা নানা শর্ত জুড়ে দেন। যেমন ‘বাসার ছাদে যাওয়া নিষেধ’, ‘রাত ১০টার পর বাসার গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে’ ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব শর্ত ব্যাচেলরদের জন্য অপমানজনক। এ জন্য শর্ত ছাড়াই যাতে মালিকরা বাসা ভাড়া দেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
দাবি নং ৬ : ব্যাচেলরদের সমাজের ‘পিছিয়ে থাকা গোষ্ঠীর’ মর্যাদা দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। রিকশার ভাড়া হাফ/ফ্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে।
দাবি নং ৭ : অনেক ব্যাচেলর বেকার থাকায় বাকিতে চা-সিগারেট খেয়ে থাকেন। অনেকের বাকির খাতা দীর্ঘ হয়ে যায়। এ নিয়ে দোকান মালিকরা যা-তা বলেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে এ ধরনের যা-তা কথাবার্তা বন্ধ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।