রম্য
‘ভাল্লাগে, খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে’
ফেসবুকে এই কিছুদিন আগেই ট্রেন্ড হিসেবে চালু হয় এক ডায়ালগ। যেখানে যেকোনো প্রশ্নের উত্তরে লোকে বলছিল, ‘ভাল্লাগে, খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে।’ আজকে এই গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করতে হাস্যরস স্টুডিওতে উপস্থিত হয়েছেন বিশিষ্ট বিশ্লেষক ও আলোচক ডিগবাজি সামছু, বিশিষ্ট সেলিব্রেটি ভাইরাল আলম ও দেফুদা। আলোচনার অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো :
হাস্যরস : আজকের টপিক এরই মধ্যে আপনারা জেনে গেছেন। প্রথমেই সামছু ভাই এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?
ডিগবাজি সামছু : ভিডিওটি দেখেছি। আমার মনে হয়, এ ভিডিওর মাধ্যমে শুধু সামাজিক মাধ্যমে নয়, বাস্তব জীবনেও নতুন মাত্রা এনেছে। এখন থেকে ফেসবুকের শর্টকাট মেসেজের মতন উক্ত শব্দগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ডায়ালগ অনেক কথার উত্তরকে সংক্ষিপ্ত রূপ দেবে। যেমন ধরুন, কাউকে জিজ্ঞাসা, ‘ভাই, এখানে কেন?’
উত্তর : ভাল্লাগে, খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে।
এত রাতে ফেসবুকে কেন?
উত্তর : ভাল্লাগে, খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে।
আপনি হাস্যরস পড়েন কেন?
উত্তর : ভাল্লাগে, খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে।
অর্থাৎ, এ রকম হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে মাত্র চারটি শব্দ ব্যবহার করে। তা ছাড়া ফেসবুকে বারংবার বিরক্তিকর 'হুমম...'-এর পরিবর্তে এই চারটি শব্দ আমরা কপি-পেস্ট করে অল্প সময়েই অনেক মেসেজের উত্তর দিয়ে দিতে পারি। অর্থাৎ, অল্প কথায় অনেক কথার উত্তর দেওয়া যাবে।
ভাইরাল আলম : আমরা বুঝেছি। আপনার প্যাঁচাল এবারে থামান।
ডিগবাজি সামছু : কেন?
ভাইরাল আলম : অনেকেই বলেন আমি নাকি নির্বাচন করেছি—ভাল্লাগে, খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে। কষ্ট লাগে ভাই।
হাস্যরস : ভাই, আপনারা থামুন। দেফুদা কিছু বলবেন।
দেফুদা : আমি বলি, ওই মেয়েদের আমার কাছে পাঠিয়ে দাও। ওদের বলছি, আমার মতন হতে চাও? বিশ্ববিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ...।
হাস্যরস : জি দেফুদা, আপনার মতন হতে হলে?
দেফুদা : জুস খাও, জুস খাও...
ভাইরাল আলম : এ রকম অশালীন লোকের সঙ্গে আমি টক শোতে থাকব না।
ডিগবাজি সামছু : বসেন বসেন। বইসা যান। বসেন বসেন।
দেফুদা : আহো ভাতিজা। বইসা পড়ো।
হাস্যরস : এইসব কী হচ্ছে, বুঝছি না।
ডিগবাজি সামছু : ভাইরাল টপিক নিয়ে ভাইরাল আলোচনা হচ্ছে।