রম্য
সমুচা খেতে এবার মটু-পাতলু বাংলাদেশে
কিছুক্ষণ আগে পাওয়া কাল্পনিক ব্রেকিং নিউজ থেকে জানা যায় বিখ্যাত "মটু-পাতলু" সিরিজের মটু বাংলাদেশে এসেছেন বিশেষ খ্যাতি পাওয়া সমুচা খেতে। গোপন সংবাদ পাওয়ামাত্র বিমানবন্দরে গিয়ে মটুর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন হাস্যরস প্রতিনিধি মন্টু মিয়া।
হাস্যরস : রাস্তায় কোনো ঝামেলা হয়নি তো?
মটু : সারাদিন শুটিং নিয়ে এত ব্যস্ত থাকতে হয় যে কয়েকদিন ধরে পত্রপত্রিকা দেখাই হয়নি। আজ শুটিংয়ের ফাঁকে পাশের দেশে এ রকম খ্যাতি পাওয়া সমুচার নিউজ পড়ে লোভ সামলাতে পারলাম না। চলে এলাম। তবে কষ্ট বলতে টিকেট পাইনি, পাইলট বলল জায়গা করে দেবেন তবে শেষমেশ দাঁড়িয়েই এসেছি।
হাস্যরস : কী বলেন? প্লেনেও আজকাল দেশের সিটিং সার্ভিসের মতন মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে! ইস! স্যার। অনেক কষ্ট করেছেন।
মটু : এই যে, তোমাদের এক দোষ,আসতে না আসতেই নিজ দেশের দুর্নাম করছ। আর আমি তো মানুষ নই কার্টুন। আমার জন্য দুঃখ না পেলেও চলবে।
হাস্যরস : তো যাই হোক। সমুচা খেতে কখন রওনা হচ্ছেন তাহলে।
মটু : পাতলু এইমাত্র ফোন করেছিল। ও অনুরোধ করল আগামীকাল যেতে। তাই আজ ভাবছি পুরান ঢাকার ১০ টাকার বিরিয়ানি খেতে যাব।
হাস্যরস : ঢাকা বিরিয়ানি, হাজির বিরিয়ানি, কামাল বিরিয়ানি, নান্নার বিরিয়ানি বাদ রেখে হঠাৎ ১০ টাকার বিরিয়ানি কেন খেতে যাবেন?
মটু : ভাল্লাগে, খুশিতে, ঠ্যালায়, ঘোরতে। আপনার সমস্যা?
হাস্যরস : জ্বি না স্যার, তো স্যার সমুচা খেতে আপনার সঙ্গে যেতে পারি?
মটু : প্রতি ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটা সমুচা, একটা সিঙ্গারা, একটা চপ। আমি আর পাতলু সমুচা, সিঙ্গারা খাব তোমার জন্য চা আর চপ। আচ্ছা একটা বিষয়, তোমাদের দেশে এত কম দামে ভাজাপোড়া পাওয়া যায়, তোমরা আমাদের দেশে রপ্তানি কর না কেন?
হাস্যরস : স্যার টাটকা ইলিশ পাঠিয়েই কাজ হলো না আর ভাজাপোড়া। অতো তেল আমাদের নেই।
মটু : হুম...