বিখ্যাতদের মজার ঘটনা

অস্কার ওয়াইল্ডের শেষ কৌতুক

Looks like you've blocked notifications!

আত্মহত্যার কারণ

অস্কার ওয়াইল্ড একদিন টেমসের ব্রিজের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন,এক তরুণ ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত তরুণটিকে ধরে ফেললেন। আত্মহত্যার কারণ জিজ্ঞেস করতেই তরুণ জানাল, সে এবারও পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। ওয়াইল্ড সব শুনে তাকে নিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটলেন। তারপর বিদায়ের সময় সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, এই তুচ্ছ কারণে আত্মহত্যা করলে লোকে তোমাকে নির্ঘাত বোকা বলবে। কারণ পরীক্ষায় উজবুকেরা এমন সব প্রশ্ন করে বসে যে, মাঝেমধ্যে বিজ্ঞরাও এর সঠিক উত্তর দিতে পারে না।

অনুবাদ

বিখ্যাত লেখক অস্কার ওয়াইল্ড ছিলেন যেমন রসিক তেমন বাকপটু। তিনি একবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডিভ ভার্স’ বিষয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। পরীক্ষক তাকে গ্রিক ভাষায় লেখা ‘নিউ টেস্টামেন্ট’ থেকে ‘প্যাশন’ অংশের কয়েক লাইন অনুবাদ করতে বললেন। ওয়াইল্ড ১০-১২ লাইন নির্ভুল অনুবাদ করার পর পরীক্ষক সন্তুষ্ট হয়ে বললেন- ‘ঠিক আছে আর করতে হবে না।’

ওয়াইল্ড পরীক্ষকের কথা যেন শুনতেই পাননি এমন ভাব করলেন। এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করে ফেলার পর পরীক্ষক রাগান্বিত হয়ে বললেন ‘আরে থামুন তো। বাকিটা অন্যরা অনুবাদ করবে।’ ওয়াইল্ড মিনতি জানিয়ে বললেন-‘স্যার, দয়া করে গোটা অংশটাই আমাকে অনুবাদ করতে দিন। বাড়তি অনুবাদ করার জন্য আমাকে বাড়তি কোনো মার্কস দিতে হবে  না।

শেষ কৌতুক

বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলাটা একটা শিল্প। আশপাশে অনেকের মধ্যেই যখন আমরা এই গুণ দেখি তখন আফসোস হয় বৈকি! ইস্! আমি কেন এমন পারি না? কিন্তু ভাবুন তো,মৃত্যুর সময়ও কী এই গুণ বজায় রাখা সম্ভব? মরার আগে কৌতুক করতে পারার মতো বুকের পাটা কয়জনের আছে। অস্কার ওয়াইল্ড ছিলেন সেই দুর্লভদের একজন। তাঁর জীবনের শেষ সংলাপটিও ছিল বুদ্ধিদীপ্ত ও কৌতুকপূর্ণ। তিনি মৃত্যুশয্যায় শুয়ে তাঁর জানালার ময়লা পর্দাগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘হয় ওই পর্দাগুলো যাবে, নয়তো আমি যাব।’ এটিই ছিল অস্কার ওয়াইল্ডের শেষ কথা।