রম্য
পটল মামা
পটল মামা খায়না পটল, খায় সে আলুর দম
বলব কি আর, পটল মামা পিঁপড়ে খাওয়ার যম।
হঠাৎ কভু আশপাশে তার লাল পিঁপড়ে পেলে
পটল মামা অমনি ধরে গপ গপা গপ গেলে।
কালো পিঁপড়ে, ধলো পিঁপড়ে সামনে পড়ে যেই
পটল মামা ডিগবাজি খায়, নাচে তা ধিন ধেই।
বৃষ্টি শেষে উইঢিবিতে উইপোকারা ওড়ে
পটল মামা চোখ পাকিয়ে ওদের পাশে ঘোরে।
কোথাও যদি উইয়ের ফাঁকে পিঁপড়ে দেখা যায়
চিঁহি চিঁহি বলে মামা সুরুত করে খায়।
ডাই ওড়লা বিষ মান্দার পেলে হাতের কাছে
পটল মামা হাত পা ছুড়ে তিড়িংবিড়িং নাচে।
একদিন এক কাণ্ড হলো দুপুর বেলার শেষে
পটল মামা আম তলাতে যেই দাঁড়ালো এসে
কোত্থেকে এক ভোম্বা সাইজ পিঁপড়ে এলো উড়ে
পটল মামা অমনি ধরে গিলল গুপুত করে।
তারপর সেকি চেঁচানো তার আকাশ বাতাস ফুঁড়ে
ওরে বাবারে, ওরে মারে, ব্যথায় গেলাম মরে।
পটল মামা পিঁপড়ে ভেবে খেয়ে ফেলেছে বল্লা
হুল ফুটেছে বিষ ছড়েছে গলা ফুলেছে ঢল্লা।
সেই ব্যথাতে হয়ে কুপোকাত, হপ্তা দুয়েক লড়ে
পটল মামা তুলল পটল একলা ঘরে পড়ে।