১০ কোম্পানির দখলে ৩৫ শতাংশ লেনদেন

Looks like you've blocked notifications!

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচক উত্থানে পার করল গত সপ্তাহ (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)। সপ্তাহটিতে পুঁজিবাজারে মূলধনসহ বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। শীর্ষ ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে ৩৫ শতাংশ লেনদেন। 

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, আগের সপ্তাহ থেকে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন বেশি হয়েছে ১৯৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বাজারে মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে ৬৭৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। শীর্ষ ১০ কোম্পানির লেনদেন ৭৬৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল সাত লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ছয় লাখ ৭৯ হাজার ৯০৮ কোটি ৬২ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারে শেয়ারবাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছিল ছয় লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি দুই লাখ টাকায়। 

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৯৭৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৩৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪১২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৮৮টির, দর কমেছে ১৬৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ১৭টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৭৯৬ দশমিক ১২ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৫৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই৩০ সূচক তিন দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্টে। গেল সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ শীর্ষ ১০টির কোম্পানির দখলে রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ লেনদেন ‘বি’ ক্যাটাগরির দখলে। বাকী লেনদেনের ৪০ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরি এবং ১০ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির দখলে। গেল সপ্তাহে এই ১০টি কোম্পানি লেনদেন হয়েছে ৭৬৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ‘বি’ ক্যাটাগরির শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার। কোম্পানিটি একার মোট শেয়ারের লেনদেন হয় ১১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা পাঁচ দশমিক ৪২ শতাংশ। 

এ ছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১০৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১০০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা,  মালেক স্পিনিংয়ের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৯৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের  (‘এন’ ক্যাটাগরি)  ৭৫ কোটি আট লাখ টাকা, লাভেলো আইসক্রিমের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৫৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামিকের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ৫৩ কোটি এক লাখ টাকা, গোল্ডেন সনের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং স্কয়ার ফার্মার  (‘এ’ ক্যাটাগরি)  ৪৭ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গেল সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১১ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবারের ডিএসইর পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।