লেনদেনের শীর্ষে শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার

Looks like you've blocked notifications!
শাইনপুকুরের লোগো তাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত  নতুন বা ‘বি’ ক্যাটাগরির শাইনপুকুর সিরামিকসের ১১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)। যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৪২ শতাংশ একাই করেছে কোম্পানিটি। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। অপরদিক লেনদেন শীর্ষে থাকা শেয়ারটির দর বেড়েছে তিন টাকা ৯০ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৪২ টাকা ৮০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে তিন টাকা ৩০ পয়সা বা আট দশমিক ৩৫ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ১১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৪২ শতাংশ। সপ্তাহটিতে মোট ৪১২টি কোম্পানি দুই হাজার ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে এক পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১৫ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে দুই পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ২৫ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল এক টাকা ১৭ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা শূন্য ৯ পয়সা।

গত ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে আর্থিক প্রতিবেদন (জুলাই-জুন) যাচাই বাছাই করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নদগ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ৪১ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৩৯ পয়সা পয়সা। আলোচিত সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৬৩ পয়সা। আগের সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল এক টাকা। আলোচিত সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের সমাপ্ত অর্থবছরে  শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। 

২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়  শাইনপুকুর সিরামিকস। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩১৪ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক ৫০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক আট দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪১ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।

লেনদেন শীর্ষের ওই তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১০৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১০০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা,  মালেক স্পিনিংয়ের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৯৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের  (‘এন’ ক্যাটাগরি)  ৭৫ কোটি আট লাখ টাকা, লাভেলো আইসক্রিমের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৫৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামিকের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ৫৩ কোটি এক লাখ টাকা, গোল্ডেন সনের  (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং স্কয়ার ফার্মার  (‘এ’ ক্যাটাগরি)  ৪৭ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।