আয়ের উৎস অনিয়মিত এমন ব্যক্তিদের ঋণ সুবিধা না দেওয়ার সুপারিশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/12/bangladesh-securities-and-exchange-commission.jpg)
পুঁজিবাজারে যাদের ১০ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগ ও নিয়মিত আয়ের কোনো উৎস নেই এমন ব্যক্তিদের জন্য শেয়ারের বিপরীতে ঋণ সুবিধা বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণসুবিধা বিষয়ক আইনি সংস্কারের সুপারিশ প্রতিবেদন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জমা দিয়েছেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
সুপারিশ প্রতিবেদনে শেয়ারের বিপরীতে দেওয়া ঋণসুবিধা সংক্রান্ত আইনি বিধিবিধান পরিবর্তন ও ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত ও সীমা আরোপের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। ব্রোকারেজ হাউসের পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংককে আইন সংশোধনের মাধ্যমে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। তবে অবসর, গৃহিণী ও শিক্ষার্থী বিনিয়োগকারীদের এই ঋণ সুবিধার বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুঁজিবাজারে সেসব বিনিয়োগকারীই ঋণসুবিধা পাবেন, যাদের ন্যূনতম ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। শুধু ১০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলেই হবে না, সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগের ৬ মাসের অভিজ্ঞতা না থাকলে সেসব বিনিয়োগকারীকে ঋণসুবিধা না দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। শর্ত পূরণের পর শেয়ারের বিপরীতে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঋণগ্রহীতার সক্ষমতা যাচাইয়ের বিধান করার প্রস্তাব করা হয়।
সুপারিশে আরও বলা হয়, শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া ঋণের মেয়াদ হবে ছয় মাস থেকে এক বছর। মেয়াদ শেষে তা আবার নবায়ন করা যাবে। কোম্পানির উদ্যোক্তা–পরিচালক, প্লেসমেন্টধারী ও বিক্রয় নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা শেয়ার, গুজবনির্ভর এবং জামানত রাখা শেয়ারকে ঋণসুবিধার বাইরে রাখতে হবে।
কোন ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ঋণসুবিধা পাবেন, তার একটি তালিকা প্রতিদিন স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে প্রকাশ করার সুপারিশ করা হয়েছে টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ শ্রেণির কোম্পানি, যাদের পিই রেশিও ৩০ এর বেশি হবে না, সেসব শেয়ারকে ঋণযোগ্য শেয়ার হিসেবে বিবেচনার কথা বলা হয় সুপারিশে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পিই রেশিও হতে হবে ২০।
ঋণদাতা কোনো প্রতিষ্ঠান তার বিতরণ করা ঋণের ২৫ শতাংশের বেশি একক কোনো শেয়ারে ঋণ হিসেবে বিতরণ করতে পারবে না। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতা সব বিনিয়োগকারীকে বিবেচনায় নিয়ে এই বিনিয়োগ সীমা পরিপালন করতে হবে।