পুঁজিবাজারে সুকুকের অপব্যবহার হয়েছে, কর্মশালায় বক্তারা

সারাবিশ্বে সুকুক বন্ড খুবই জনপ্রিয় এবং পুঁজিবাজারের জন্য ইফেক্টিভ প্রোডাক্ট। তবে দেশের পুঁজিবাজারে বিগত রেগুলেটর এবং সরকার অনেক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেওয়ায় সুকুকের অপব্যবহার হয়েছে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) মিলনায়তনে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং বন্ড এন্ড সুকুক মার্কেট’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় তারা এ কথা বলেন। কর্মশালা যৌথভাবে আয়োজন করে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বিআইসিএম। প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক এস এম কালবীন ছালিমা, প্রভাষক ফাইমা আক্তার ও প্রভাষক গৌরব রায়।
কর্মশালার শুরুতে বিআইসিএমের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নাজমুস সালেহীন বলেন, বিআইসিএম দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। পুঁজিবাজারের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু দুঃখজনক হলো, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা জনশক্তি পাচ্ছি না।
শিক্ষার্থী পাওয়া নিয়ে এখন আমরা সমস্যায় আছি মন্তব্য করে নাজমুস সালেহীন বলেন, বিআইসিএম এ এপ্লাইড ফাইনান্স এন্ড ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম রয়েছে। যার সার্টিফিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করে। এখানেও আমরা শিক্ষার্থী পাচ্ছি না।
সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভুঁইয়া বলেন, পুঁজিবাজারে উন্নয়নে বন্ডের বিকল্প নেই। কিন্তু এই বন্ড সম্পর্কে জানা এবং বুঝার বিষয়ে কিছুটা ঘাটতি আছে। সেখান থেকেই এ আয়োজন। আশা করি, এ ধরনের প্রশিক্ষণ সেই ঘাটতি মেটাতে ভূমিকা রাখবে।

সিএমজেএফ সাধারণ সম্পাদক আবু আলী বলেন, পুঁজিবাজার একটি সংবেদনশীল জায়গা। এ বিটে কর্মরত সংবাদকর্মীরা অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের বাইরে থেকেও এসেছেন। ফলে সংবেদনশীল জায়গায় দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার জন্য সিএমজেএফ সব সময় সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায় এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন। এই ধরনের কর্মশালা দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
সুকুক ও বন্ডে বিনিয়োগ করা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে সিএমজেএফ ইসি কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, সঠিক সময়ে বন্ডের অপব্যবহার না আটকানো গেলে বিনিয়োগকারীরা এর ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন।