ডিএসইতে নিরাপদ বিনিয়োগ খাত জ্বালানি, পরে ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সিঙ্গেল ডিজিট বা একক অঙ্কে রয়েছে। পিই রেশিও হিসেবে সিঙ্গেল ডিজিট ডিএসইতে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজারের বিশ্লেষকরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডিএসইতে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও শক্তি খাত। এই খাতটির পর বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। পরের খাতটি সেবা ও আবাসন। আলোচিত এই তিন খাতের পিই রেশিও সিঙ্গেল ডিজিটে অবস্থান করছে। সেই হিসেবে খাত তিনটি বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। অপরদিকে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সিরামিক খাতে। এই খাতটির পর বিনিয়োগ ঝুঁকিতে অবস্থানে রয়েছে চামড়া।
এদিক পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে, ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। এসব বিবেচনায় গত বৃহস্পতিবারের ডিএসইর পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট। সেই হিসেবে ডিএসইতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে আছে। তেমনি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ খাত নিরাপদে রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জ্বালানি ও শক্তি খাতটিতে পিই রেশিও অবস্থান করে চার দশমিক ৮৬ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে এই খাতের পরেই বিনিয়োগ নিরাপদে অবস্থান রয়েছে ব্যাংক খাত। গত সপ্তাহে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও ৬ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। আর সেবা ও আবাসন খাতের ৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। অপরদিকে, গত সপ্তাহে সিরামিক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছিল ১১৫ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সিরামিক খাত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অবস্থান করেছে। এরপর ঝুঁকিতে অবস্থান করা চামড়া খাতের পিই রেশিও ৪০ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে এবং পাট খাতে ২৮ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
গত সপ্তাহে খাতভিত্তিক হিসেবে পিই রেশিও ওষুধ রসায়ন খাতে ১০ দশমিক ৫০ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতে ১০ দশমিক ৬১ পয়েন্টে, নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতে ১১ দশমিক ৪২ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট, মিউচুয়্যর ফান্ড খাতে ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, টেলিকম খাতে ১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ১৩ দশমিক ৯৯ লাখ টাকা, প্রকৌশল খাতে ১৫ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৭ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, বিবিধ খাতে ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৭ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট, পাট খাতে ২৮ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে এবং চামড়া খাতে ৪০ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।