বিনিয়োগ ঝুঁকিতে, তবুও বৃদ্ধির সেরা এস আলম কোল্ড

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস গত সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ মার্চ) শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অনুসারে কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে নেই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ২৬ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের ৬ মার্চ ছিল ২০ টাকা ১০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ছয় টাকা ৫০ পয়সা বা ৩২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
গত বৃহস্পতিবার মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছে ২৬১ কোটি ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ২৬০ টাকা। এটি আগের সপ্তাহের ৬ মার্চ হয়েছিল ১৯৭ কোটি ৭২ লাখ ৫৯ হাজার ১১০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন বেড়েছে ৬৩ কোটি ৯৪ লাখ ১২ হাজার ১৫০ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়ায় ৭১ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।
পিই রেশিও হিসাবে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে নেই। এদিক পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানে বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি।
২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস। ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ১০০টি। রিজার্ভে রয়েছে ৪০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৬ দশমিক ৫২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। গত ২০২৩ সালে জুনে কোম্পানিটির স্বল্পমেয়াদি ঋণ ছিল এক হাজার ৪১২ কোটি ১২ লাখ টাকা।