এবারের বাজেট জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ : চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘কোভিডের পরে এই বাজেটটি জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। তিনি ব্যবসায়ীদের জন্য যে প্রণোদনা দিয়েছেন, তাতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়েছেন। তাঁর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আজ শনিবার রাতে দর্শকনন্দিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. মাহবুবুল আলম বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে যেন আমরা না ভুলি। আবারও যদি এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে আমরা কী করব। এজন্য আমাদের জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালগুলোকে যদি আধুনিকায়ন করতে পারি, তাহলে আবারও এমন কিছু হলে আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারব।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সদস্য এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকারের কাছে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি, করপোরেট ট্যাক্স ও ব্যাংকিংয়ের ট্যাক্স রেট কমানোর কথা বলেছিলাম। আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, সরকার সেসব কথা শুনেছে। একটি বিষয় হচ্ছে, ব্যাংকের ট্যাক্স রেট অনেক বেশি। এমনকি অনাদায়ী ঋণেও আমাদের সেই একই ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ ট্যাক্স আমাদের দিতে হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীকে বলতে চাই, এই জায়গাটিতে যদি কিছু করা যায়। অনাদায়ী ঋণ আদায় হয়ে গেলে আমরা ট্যাক্স দিব। কিন্তু এখানে লাভ পাচ্ছি না, তাও ট্যাক্স দিতে হচ্ছে।’
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘আমাদের করপোরেট ট্যাক্সে যে লিস্টেড আর নন লিস্টেডের ফারাক আছে সেটা খুব কম, সাড়ে ৭ শতাংশ। বাংলাদেশে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি আছে, এই ফারাকটা বাড়িয়ে দিতে পারলে তারা লিস্টেড হতে আগ্রহী হবে। আমি প্রস্তাব করি, ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ যদি লিস্টেড কোম্পানির ট্যাক্স ধরা হয় তাহলে খুব উপকার হবে।’
এমএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এসএমই খাতের ট্যাক্স রেটটা কমানো জরুরি, সেটা আমরা সবাই জানি। দেখুন, জাপানের অর্থনীতির ৯৩ শতাংশ নির্ভর করে এসএমই খাতের ওপর। বাংলাদেশে আমরা করি ২০ বা ২৫ শতাংশ। শিল্প খাত করে ৩৬ শতাংশ। এখানে ৮৫ শতাংশেরও বেশি কর্মসংস্থান আবার এসএমই খাতের। এই এসএমই খাতের লোকজনকে বিশেষ সুবিধা যদি আমরা বাঁচিয়ে না রাখি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছেন তা অর্জন করা কঠিন হবে।’
আগামী বাজেট এসএমইবান্ধব একটি বাজেট হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এমএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান। তিনি আরও বলেন, ‘একটি ট্রেড লাইসেন্সের জন্য বছর বছর কেন ঘুরতে হবে। ফি একটু বাড়িয়ে নিয়ে এটার মেয়াদ পাঁচবছর বা দশ বছর করা যেতে পারে।’