বাজারে ওয়ালটনের ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে
দেশের ডিজিটাল ডিভাইস বাজারে একের পর এক চমক দিচ্ছে ওয়ালটন। সাশ্রয়ী দামে অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে আসছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বিশাল পর্দার ফোরকে (4K) রেজুলেশনের দুই মডেলের ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে আনল ওয়ালটন। যা অফিস-আদালত, হাসপাতাল, ক্লাসরুম ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া ডিসপ্লে হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। নতুন এই ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লের প্রি-বুকিংয়ে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দিচ্ছে ওয়ালটন।
জানা গেছে, ওয়ালটনের ডিসপ্লে ব্র্যান্ড ‘সিনেডি’-এর প্যাকেজিংয়ে আসা কালো রঙের ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে প্যানেলের মডেল ডব্লিউএসআইবি৭৫ (WSIB75) এবং ডব্লিউএসআইবি৮৬ (WSIB86)। ৭৫ এবং ৮৬ ইঞ্চির ডিসপ্লে দুটোর রেগুলার মূল্য যথাক্রমে ৩০৭,০৫০ এবং ৩৬২,৭৭০ টাকা। কিন্তু প্রি-বুক দেওয়া ক্রেতাদের জন্য ডব্লিউএসআইবি৭৫ (WSIB75) মডেলে ১৫ হাজার এবং ডব্লিউএসআইবি৮৬ (WSIB86) মডেলে থাকছে ২০ হাজার টাকা ডিসকাউন্ট। ফলে এই দুই মডেলের দাম পড়ছে মাত্র ২৯২,০৫০ এবং ৩৪২,৭৭০ টাকা।
ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান রাদ জানান, ৫ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত কোনও ধরনের অ্যাডভান্স পেমেন্ট ছাড়াই বিশাল পর্দার এই ডিসপ্লের প্রি-বুক দিতে পারছেন গ্রাহক। ঘরে বসেই ওয়ালটন ই-প্লাজা থেকে (https://cutt.ly/cZf959n) ডিসপ্লে দুটির প্রি-বুক দেওয়া যাচ্ছে।
ওয়ালটনের ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লের উভয় মডেলে রয়েছে ফোরকে আল্ট্রা এইচডি এলসিডি আইপিএস ডিসপ্লে। পর্দার রেজ্যুলেশন ৩৮৪০ বাই ২১৬০ পিক্সেল। এর সঙ্গে ১৭৮ ডিগ্রি ভিউইং অ্যাঙ্গেল এবং ১৬:৯ এসপেক্ট রেশিও থাকায় বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার, অফিস মিটিং, ক্লাসরুমে ব্যবহার, ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং হবে আরো প্রাণবন্ত। ক্রিটিক্যাল এঙ্গেল থেকেও ব্যবহারকারী হাই-কোয়ালিটি পিকচার পাবেন।
এই ডিসপ্লের উচ্চগতি নিশ্চিতে ব্যবহৃত হয়েছে এমটি৯৯৫০ চিপসেট। এতে রয়েছে ১.৮ গিগাহার্টজ গতির কর্টেক্স এ৭৩ কোয়াড কোর প্রসেসর এবং মালি জি৫২ এমপি২ গ্রাফিক্স। এরসঙ্গে ৪ জিবি র্যাম এবং ৩২ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ মেমোরি থাকায় অনেক বেশি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যাবে।
ওয়ালটনের ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লের সঙ্গে বিল্ট-ইন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম দেয়া আছে। গ্রাহক প্রয়োজনে ওপিএস পিসি মডিউলের মাধ্যমে উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন। ওয়াইফাই কিংবা ল্যান পোর্টের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করা যাবে। ব্লুটুথ এবং মিররিং সুবিধার মাধ্যমে অন্যান্য ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদির ডিসপ্লে হিসেবে সংযুক্ত করা যাবে। এ ছাড়া এই ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লেতে রয়েছে এইচডিএমআই, ইউএসবি টাইপ এ ও টাইপ সি, মাইক্রোফোন ইত্যাদি অসংখ্য পোর্ট।
এতে পেন ব্যবহার করে লেখা বা আঁকার সুবিধা রয়েছে। ফলে ক্লাসরুম কিংবা মিটিংয়ে মাল্টিমিডিয়া বোর্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এতে সরাসরি ইউটিউবসহ অন্যান্য ওয়েব ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিডিও দেখার পাশাপাশি টিভি কার্ডের মাধ্যমে ক্যাবল নেটওয়ার্কে টিভি দেখার সুবিধা রয়েছে। বিল্ট ইন ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থাকায় স্পষ্ট ভিডিও কল কিংবা ভিডিও কনফারেন্সিং করা যাবে।
অ্যালুমিনিয়াম ও মেটাল প্লেটে তৈরি বলে ওয়ালটনের ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে খুবই মজবুত ও টেকসই। এই ডিসপ্লেতে এইচডিএমআই ও ভিজিএ উভয় ধরনের ইনপুট পোর্ট থাকায় আধুনিক কিংবা পুরাতন সব ধরনের কম্পিউটার ডিভাইসে সহজেই ব্যবহার করা যাবে। এতে রয়েছে ১৫ ওয়াটের দুইটি বিল্ট ইন স্পিকার। ফলে আলাদা অডিও ডিভাইসের সংযোগ ছাড়াই ব্যবহারকারী প্রয়োজনীয় অডিও সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
ওয়ালটনের ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লেতে ওয়াল মাউন্টিং অপশন রয়েছে। ফলে শুধু স্ট্যান্ডেই নয়, প্রয়োজনে এটি যে কোনো এলইডি টিভির মতো দেয়ালে স্থাপন করা যাবে। যারা নিয়মিত গেম খেলেন কিংবা অফিশিয়াল কাজে প্রেজেন্টেশন বা মিটিং এর জন্য বড় স্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, তাদের জন্য এই অপশনটি বাড়তি সুবিধা হিসেবে কাজ করবে।