বেনাপোলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
যশোরের বন্দরনগরী বেনাপোলে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত টহল দিচ্ছে। তবে কাস্টমস ও বন্দর সংশ্লিষ্ট লোকজনদের যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
এদিকে, লকডাউনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে আমদানি- রপ্তানি চালু ছিল। বন্দর ও কাস্টমস হাউজে স্বাভাবিক নিয়মে কাজ হয়েছে। আজ সকাল থেকে ১৮০ ট্রাক মালামাল আমদানি হয়েছে ও ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৭০ ট্রাক মালামাল।
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম রেজা জানান, ভারতীয় কোনো ট্রাকচালক যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে ছিল। বেনাপোল বন্দর এলাকায় বিজিবির দুটি চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। তবে বেনাপোলে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, ও জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বেনাপোলে দীর্ঘ সময় নজরদারি করেছেন।
তবে ভারতের সঙ্গে বেনাপোলের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রেলযোগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৬০ কন্টেইনার সোডিয়াম সালফেট আমদানি হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কন্টেইনারগুলো নওয়াপাড়ায় যাবে বলে বেনাপোল রেলওয়ের মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান নিশ্চিত করেন।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, লকডাউনের মধ্যে ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ৪০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে এবং বাংলাদেশ থেকে এদের প্রত্যেককে বেনাপোলের বিভিন্ন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।