লকডাউনে কারখানা খোলা রাখার দাবি পোশাক ও বস্ত্র মালিকদের
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প ও সহযোগী শিল্পকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ) ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) নেতারা এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, গত বছর সাধারণ ছুটি ও পরবর্তীতে দুই ঈদে শ্রমিকদের আবাসস্থল ত্যাগ করে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা উপেক্ষা করা যায় না। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই ব্যাপক সংখ্যক শ্রমিক শহর ছাড়তে পারেন। এতে দেশব্যাপী সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
আবদুস সালাম আরও বলেন, এই অবস্থায় বস্ত্র ও পোশাক খাত ও সহযোগী খাত লকডাউনের আওতাধীন রাখা হলে দেশব্যাপী সংক্রমণের বিস্তারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে লকডাউন শেষে এসব শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও দেখা দেবে অনিশ্চয়তা।
সংগঠনগুলোর নেতারা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিল্প-কারখানা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁরা বলছেন, এর মধ্যেই শ্রমিকদের মজুরি এবং অন্যান্য খরচ মেটাতে হয়েছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
আর করোনা মোকাবেলার প্রণোদনার ঋণ পরিশোধের সময়ও ঘনিয়ে এসেছে উল্লেখ করে শিল্পমালিকরা বলেন, সেকারণে লকডাউনে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প বন্ধ করা হলে প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে বাজার হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ হারিয়েছে পোশাক খাত এবং চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি হারিয়েছে সাড়ে নয় শতাংশ।
২০২০ সালের এপ্রিল নাগাদ পোশাক খাতের এক হাজার ১৫০টি সদস্য প্রতিষ্ঠান ৩১৮ কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল ও স্থগিতের শিকার হয়েছে। ৯০ শতাংশ প্রত্যাহার হলেও মূল্যছাড় ও ডেফার্ড পেমেন্ট মেনে নিতে হয়েছে।