বিধিনিষেধ শিথিল করে ৮ নির্দেশনা
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। নতুন প্রজ্ঞাপনে আটটি বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে যেসব নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-
১. সব সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে।
২. বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহণ চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহণ সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
৪. শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা রাখা যাবে।
৫. সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।
৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
৭. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে; এবং
৮. গণপরিবহণ, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে দুপুরে ১১ আগস্ট থেকে চলমান বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে শিথিল করে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহণও আস্তে আস্তে চালু হবে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এর কিছু পরেই এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
নভেল করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি রোধে চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) আগামী ১০ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ২৩ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ চলছে। সরকার প্রথমে এটি ‘কঠোরতম লকডাউন’ হিসেবে ঘোষণা দিলেও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ১ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাগুলো খুলে দেয়।
গত ৩ আগস্ট সরকারের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১১ আগস্ট থেকে রুটেশন পদ্ধতিতে গণপরিবহণ, লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল করবে বলেও জানানো হয় ওই বৈঠক থেকে।