লাখপতির গল্প
৫০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন রুহি
রুহি সাদিয়া আমিনের অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান—প্রয়োজন ডেইলি.কম। প্রায় পাঁচ বছর হলো তাঁর প্রতিষ্ঠানের। এরই মধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একেবারে অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এখন পুঁজি ও বিক্রি দুই-ই বেড়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠানে ১০-১২ জন কাজ করছেন। এ পর্যন্ত ৫০ লাখ টাকার বেশি পণ্য বিক্রি করেছেন রুহি।
সম্প্রতি রুহি সাদিয়া আমিনের সঙ্গে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের। জানান, দেশীয় থ্রি-পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি, ম্যাচিং ড্রেস, ফ্যামিলি কম্বো, পর্দা, কুশন ও দোলনা নিয়ে কাজ করছেন। মাসে তিন থেকে চার লাখ টাকার মতো পণ্য বিক্রি হয়।
কী নিয়ে ব্যস্ততা এখন? এনটিভি অনলাইনের এমন প্রশ্নে রুহির উচ্ছ্বাসভরা উত্তর, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ ভালো রেখেছেন। কাজ ও সংসার, দুটো নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। আমার একমাত্র কন্যা আনাবিয়া, হাজব্যান্ড, বাবা-মা-ভাই, শাশুড়ি-দেবর নিয়েই আমার পৃথিবী।’
রুহির উদ্যোক্তা-জীবনের সাফল্যে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) ফেসবুক গ্রুপের ভূমিকা অনেক। তাঁর ভাষ্যে, ‘উই আমাদের শিখিয়েছে একজন নারী কীভাবে উদ্যোক্তা হয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, উই আসলে উদ্যোক্তা তৈরির কারখানা। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রাজিব আহমেদ স্যার এবং নাসিমা আক্তার নিশা আপুর প্রতি, যাঁরা আমাদের প্রতিনিয়ত গাইড করে যাচ্ছেন, শিখিয়ে যাচ্ছেন। উই গ্রুপে এত এত সদস্য, এত উদ্যোক্তার গল্প, যা আমাদের উৎসাহিত করে। অনেক অনুপ্রেরণা পাই এগিয়ে যেতে।’
উদ্যোক্তা-জীবনের মধুর স্মৃতি? রুহি বলেন, ‘উদ্যোক্তা হওয়ার পরে আমার সবচেয়ে মধুর স্মৃতি হলো উই থেকে লাখপতি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া। আমার হাজব্যান্ড এবং পুরো পরিবার। আগে থেকে উদ্যোক্তা হতে চেয়েছিলাম, তবে তা অপূর্ণ রয়ে গিয়েছিল। এখন তা পূর্ণ করতে সাহায্য করেছে উই।’
রুহি জানান, পণ্যের মানে কোনো ছাড় দেন না। ক্রেতাকে দেওয়ার আগে তিনি নিজে পণ্যের মান দেখে নেন। এ কাজে তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর স্বামী ও পরিবার। রুহি মনে করেন, তাঁর ইউনিক ডিজাইন, পণ্যের মান, কাস্টমার সার্ভিস—সবকিছু মিলিয়ে ক্রেতার সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন।
রুহি সাদিয়া আমিন ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করেছেন। ঘর সাজাতে খুব পছন্দ করেন। তাঁর উদ্যোক্তা-জীবন প্রায় পাঁচ বছর।
বলা হয়, অনেকে লাখপতি? রুহি কি হতে পেরেছেন? তাঁর উত্তর, ‘আলহামদুলিল্লাহ, লাখপতি হয়েছি অনেক আগেই।’ রুহির একটি শোরুম আছে। শোরুমটি আরও বড় এবং কাজের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।