তিন শূন্য লক্ষ্য করে এগোতে হবে : ড. ইউনূস
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/28/photo-1432821799.jpg)
পুরনো ধ্যান-ধারণা দিয়ে বিশ্ব আর এগোতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, তিন শূন্য লক্ষ্য করে আমাদের এগোতে হবে। দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ –এই তিন সমস্যার টেকসই সমাধানের মধ্যেই রয়েছে বিশ্বকে নতুন করে সাজানোর পথ।
urgentPhoto
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সামাজিক ব্যবসা দিবস-২০১৫’ উপলক্ষে এক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ড. ইউনূস।
পৃথিবীকে এগিয়ে নিতে হলে বেকারত্ব দূরীকরণ, সামাজিক ব্যবসা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন ইউনূস। তাঁর মতে, অন্যের চাকরি করার জন্য মানুষের সৃষ্টি হতে পারে না। সৃজনশীলতা দিয়ে নিজের ও মানুষের সমস্যার সমাধানেই লুকিয়ে আছে প্রতিটি মানুষের স্বার্থক জন্ম।
পুরনো ধ্যান-ধারণা দিয়ে বিশ্ব আর এগোতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন ড. ইউনুস। তিনি মনে করেন, প্রতি এক দশকে বিশ্ব জনসংখ্যায় ১০০ কোটি মানুষ যুক্ত হচ্ছে। বিপুল এই জনসংখ্যার ভার নিতে আমাদের নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে।
ড. মোহম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তিনটি শূন্যকে লক্ষ্য করে আমাদেরকে এগোতে হবে। একটি হচ্ছে পৃথিবীকে দারিদ্র্য শূন্য করা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বেকারত্বকে শূন্যে নিয়ে আসা। আমরা সেই মূল মানুষে ফিরে যেতে চাই, যে মানুষ ক্ষমতাবান, যে মানুষ সৃজনশীল, যে তাঁর নিজের সমস্যার সমাধান করবে এবং অন্যের সমস্যার সমাধান করবে, পৃথিবীর সমস্যার সমাধান করবে। সেই পর্যায়ে যেতে চাই। আর তৃতীয়টি হলো, কার্বন নিঃসরণ শূন্যের নিচে নামানো।’
বিশ্বের যে আয় বৈষম্য কিংবা সুযোগের বৈষম্য রয়েছে তার সমাধানে সামাজিক ব্যবসা অর্থাৎ প্রত্যেককে উদ্যোক্তা হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সেই সাথে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন এই নোবেল বিজয়ী।
ইউনূস বলেন, ‘চারটি মহাশক্তি আমাদের লক্ষ্য অর্জন করার পক্ষে কাজ করছে। প্রথম মহাশক্তি হলো- তারুণ্যের মহাশক্তি, দ্বিতীয়টি- প্রযুক্তির ক্ষমতা, যদি আমরা তা ব্যবহার করি। আরেকটা হচ্ছে- সামাজিক ব্যবসা। চার নম্বর মহাশক্তি হচ্ছে- সুশাসনের মহাশক্তি। এ শক্তিগুলোকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, প্রতিষ্ঠা করতে পারি তাহলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
ষষ্ঠ সামাজিক ব্যবসা দিবসের এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০টি দেশের এক হাজার ৬০০ ব্যক্তি অংশ নেন। এই দিবসের বিষয় বস্তু- ‘আমরা চাকরি প্রত্যাশী নই, চাকরি দাতা; বেকারকে উদ্যোক্তায় রূপান্তর’।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, ঢাকা সফরকারী মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী শরিফা হাফসা, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জন ফ্রিশেন প্রমুখ।