দেশের উন্নয়নে অনেকেই ঈর্ষান্বিত : অর্থমন্ত্রী
দেশের বর্তমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ‘বর্তমান সরকারের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে উন্নয়নের সঙ্গে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ তেমন বাড়েনি। এর মূল কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা। উন্নয়নের অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে শান্তি-শৃঙ্খলা। বর্তমানে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রয়েছে। আশা করছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগামী দুই বছরে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি, ৮ শতাংশে পৌঁছাবে। দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশ অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। আমরা এখন অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ওপর জোর দিচ্ছি। তাই এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, বর্তমানে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ আছে এবং অর্থনৈতিক সূচকগুলোও ইতিবাচক। এভাবে এগুলে ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হবে না। সরকার সামাজিক নিরাপত্তায় ভালো কৌশল নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ভালো। তবে টেকসই উন্নয়ন করতে হলে আমাদের অনেকখানি এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে আমরা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে রয়েছি। উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার মান উন্নয়নসহ বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র বের করতে হবে। সেই সঙ্গে জবাবদিহিতাও বাড়াতে হবে।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, চলতি মাসেই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। সেই মুদ্রানীতি জিডিপি প্রবৃদ্ধি সহায়ক এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রক হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান।