ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় পেঁয়াজের দাম এক লাফে ১১০ টাকা!
এক লাফে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বাড়ল ৩০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে ক্রেতারা প্রশ্ন রেখে বলছেন, তারা কেন একদিন পর বাজারে এসে পেঁয়াজ কিনতে কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেশি দেবেন?
দুই সপ্তাহ আগে ভারত রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় ৩০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়ে যায়।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। দোকানগুলোতে আগের মতোই বস্তা সাজানো। তবে দাম গতকালের চেয়ে আজ কেজিতে ৩০ টাকা বেশি।
মো. কামরুল ইসলাম নামের এক খুচরা ব্যবসায়ী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গতকাল বিকেলে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৭০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু সন্ধ্যায় হঠাৎ করে শুনলাম, পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তারপর থেকে আমিও ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করে দিলাম। আজ দেশি পেঁয়াজ পাইকারি কিনেছি ৯৭ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ কিনেছি ৯২ টাকা। তাহলে আমরা কী করব?’
কামরুলের পাশেই পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন মো. সজল। তিনি বলেন, ‘ফোনে ফোনে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। সন্ধ্যার আগেই কারওয়ানবাজারে রটে গেছে ভারত থেকে আর পেঁয়াজ আসবে না। তারপর থেকে হুড়মুড় করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সবাই।’
পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা আজাদ আলী বলেন, ‘গত শনিবারও পেঁয়াজ কিনেছি ৫৫ টাকা কেজিতে। কিন্তু আজ সকালে কিনেছি ৯০ টাকা করে। আমরা কী করব? যেভাবে কিনব সেভাবে বিক্রি করব। ভারত পেঁয়াজ দেবে না সেজন্য দাম বাড়ছে।’
শরীফ উদ্দিন নামের আরেকজন পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ‘দেখেন পেঁয়াজের দাম যেন ২০০ টাকা না হয়। কিছুদিন পর পেঁয়াজের হাহাকার লেগে যাবে। তখন যত দামই হোক না কেন মানুষ কিন্তু কিনবে।’
কারওয়ানবাজারে আসা মুকুল নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই হতে পারে না। একদিনে কেজিতে ৩০ টাকা বেশি দাম হবে এটা কি মেনে নেওয়ার মতো? এই টাকা আমার মতো গরিবের জন্য অনেক কিছু। সরকারের উচিত, যেভাবে পেঁয়াজের দাম কমানো যায় সেটা করা।’
আসলাম নামের এক ক্রেতা সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতাকে দায়ী করে বলেন, গতকাল সকালে পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। বিকেলে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এতেই আমাদের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিলেন। এটা সরকারের দুর্বলতা ছাড়া আর কিছুই নয়।