আন্তবাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগালে রপ্তানি আয় বাড়বে
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১৭০ কোটি মানুষের বিশাল বাজার রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের আন্তবাণিজ্যের পরিমাণ মোট রপ্তানি আয়ের শতকরা ৫ ভাগ। আন্তবাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রপ্তানি আয় কয়েক গুণ বাড়বে।
আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ এশীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০১৬-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।
রাজধানীর একটি হোটেলে এ সম্মেলনের আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরাম, বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয় ও এফবিসিসিআই।
এসএমইকে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতিতে একটি উদীয়মান শিল্প খাত উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন এবং রপ্তানি আয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তা ছাড়া এসএমই পণ্যের গুণগতমান ভালো, দামও কম। ফলে বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় এ খাত এগিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের যোগাযোগ, ঐক্য ও পারস্পরিক সম্পর্ককে সুসংহত করতে সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরাম গঠন করা হয়। দ্বিতীয়বারের এ সামিটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিশেষ অবদান রাখায় ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই সামিটে এক্সক্লুসিভ বিজনেস পারসন ও কোম্পানি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর হাত থেকে পুরস্কার নেন বিপণন ও বিক্রয় বিভাগের পরিচালক সৈয়দ আবু আবেদ সাহের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরামের সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন, শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিব রাজিভা সিংহা, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশের (নাসিব) উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান থেকে শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশে নেন।