ভারত থেকে যুদ্ধজাহাজ ‘কিনবে’ বাংলাদেশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/04/15/photo-1429093406.jpg)
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই) লিমিটেডের কাছ থেকে যুদ্ধজাহাজ কেনার সম্ভাব্যতা বিবেচনা করছে বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি ভারত সফরের সময় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মকবুল হোসেনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন জিআরএসইর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এ কে ভর্মা। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
এ কে ভর্মা বলেন, ‘মরিশাসের কোস্ট গার্ডের কাছে টহল জাহাজ বারাকুডা বিক্রি করেছে ভারত। গত মার্চে ওই এলাকায় এটি কার্যক্রম শুরু করেছে। এর পর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রস্তাব পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তাঁকে আমাদের দক্ষতা ও সক্ষমতার বিষয়ে জানিয়েছি। দেশটির প্রতিনিধিদের বলেছি, ভারতের নৌবাহিনীর জন্য কতগুলো বহর নির্মাণ করছে জিআরএসই।’ সম্প্রতি ভারতের নৌবাহিনীর জন্য ‘অ্যান্টিসাবমেরিন ওয়ারফেয়ার কর্ভেটস’ নির্মাণ করছে কলকাতার এই প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের কাছে যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করতে পারা জিআরএসইর জন্য একটি বড় ঘটনা। এটা সম্ভব হলে চীনের ওপর থেকে বাংলাদেশ নির্ভরতা কমাবে বলে মনে করেন ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশের নিজস্ব কোনো জাহাজ নির্মাণের সুবিধা না থাকায় বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়। এ সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে ভারত।
প্রসঙ্গত, চীন ও ইতালি থেকে ১০টি জাহাজ কেনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ৪ মার্চ এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ছয়টি নতুন জাহাজ কেনা হবে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জন্য। এতে আর্থিক সহায়তা করবে চীন। এ ছাড়া ইতালির নৌবাহিনী থেকে চারটি জাহাজ কেনা হবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য।
বাংলাদেশ জিআরএসইর নির্মিত একটি জাহাজ ব্যবহার করেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৯৬১ সালে ‘আইএনএস অজয়’ নামে ভারতের প্রথম যুদ্ধজাহাজটি নির্মাণ করে এই প্রতিষ্ঠান। অনেক সংস্কারের পর ১৯৭৪ সালে ওই জাহাজ উপহারস্বরূপ বাংলাদেশকে দেওয়া হয়, যা পরে নাম দেওয়া হয় ‘বিএনএস সুরমা’।