করদাতাদের ওপর চাপ তৈরি না করে আদায়ের প্রসারতা বাড়াতে হবে : ড. মোস্তাফিজুর রহমান
মূল্যস্ফীতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে তা এবারের বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেছেন, এটি বড় চ্যালেঞ্জ, কেননা এটি এমন একটি বিষয় যা অর্থনীতির ওপর চাপ সৃস্টি করে। এটি উৎপাদক ও ভোক্তা এবং রপ্তানিকারকের জন্যও খারাপ। তাই আমি মনেকরি, যারা ট্যাক্স (কর) দিচ্ছে তাদের ওপর চাপ তৈরি না করে এটা আদায়ের প্রসারতা আরও বাড়াতে হবে। অর্থাৎ, করের জাল বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ট্যাক্স প্রদানকারী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান হতে পারে।
আজ শনিবার (২৭ মে) দেশের জনপ্রিয় ও দর্শকনন্দিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘কেমন বাজেট চাই' বিশেষ অনুষ্ঠানে ড. মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এনটিভির স্টুডিওতে চলছে এই অনুষ্ঠান।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, এবারের বাজেট অনেক বড় বাজেট। এটাকে অনেকে উচ্চ বিলাসী বাজেট বলা হচ্ছে। এবারের বাজেট যদি; সাত লক্ষ ষাট হাজার কোটি টাকার হয়। তাহলে এটি আমাদের জিডিপির মাত্র ১৫ ভাগের মতো হবে। আমাদের দক্ষিণ এশিয়াতে ১৮ শতাংশ হবে।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীন আয় কম। এ কারণে সরকারি যে ব্যয়, তা বৃদ্ধি করতে পারছি না। আমাদের রাজস্ব বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের আমদানিকরকে যৌক্তিক করণ করতে পারতাম। আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা যেসব খাত আছে সেটিকে বাড়াতে পারতাম। তাই বলব, অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির সাথে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রেণের সর্ম্পক। আমাদের অস্থিতীশলতার জন্য দায়ী যে সমস্যা অভ্যন্তরীন আয় বাড়াতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনেকরি, যারা ট্যাক্স দিচ্ছে, তাদের ওপর চাপ তৈরি না করে এটা আদায়ের প্রসারতা আরও বাড়াতে হবে। অর্থাৎ, করের জাল বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ট্যাক্স প্রদানকারী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান হতে পারে।’
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমি মনেকরি, আমাদের মনিটরিং পলিসি ও পিসকাল পলিসি বাড়াতে হবে। আইএমএফও এসব করার জন্য বলেছেন। আমাদের ব্যবসা বাঁচাতে হলে আমদানিকর আদায়ের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিতে হবে। যারা মধ্যবিত্ত রয়েছেন, তাদের কর আরোপ কিছুটা বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় যারা নিম্নমধ্যবিত্ত রয়েছেন, তাদের ওপর চাপ কমাতে হবে। যারা প্রান্তিক মানুষ তাদের কথা চিন্তা করতে হবে। একটি বিষয় পাঁচ বছর আগে যাদেরকে কার্ড দেওয়া হয়েছে, এখনও তাই আছে। কিন্তু, এ সময়ে তাদের ব্যয় বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এতে করে তাদের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।’