পেঁপে-আলুর দাম সমান, খাব কী—প্রশ্ন ক্রেতার
আলুর দাম যখন বাড়ছিল, তখন স্ত্রীকে আলুর পরিবর্তে তরকারিতে পেঁপে ব্যবহারের জন্য বলেছিলেন জাকের হোসেন নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু, সেই পেঁপেও এখন আলুর দামের সমান। ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে অন্যান্য সবজির দামও চড়া। আক্ষেপের সুরে জাকের বলেন, ‘আগে বলা হতো—ভাতের ওপর চাপ কমান, বেশি বেশি আলু খান। এখন আর সে কথা বলার সুযোগ নেই। এখন কী খেয়ে দিন পার করব?’
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জাকের হোসেনের প্রশ্নের সত্যতা যাচাইয়ে আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আলু ও পেঁপের দাম সমান। ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেক সবজি কেজিপ্রতি ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। সাজনা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। অথচ, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১৫০ টাকা কেজি। বিদেশি টমেটো ২০০ টাকা, দেশি টমেটো ১৫০ টাকা, মরিচ ২০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন ১২০ টাকা, উচ্ছে ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
আলু বিক্রেতা মো. ফারুক হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বগুড়ার সাদা ও লাল আলু ৬০ টাকা করে বিক্রি করছি। আমাদের কেনা পড়ছে ৫৩ টাকা। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বেশি দিয়ে, বিক্রি তো আর কম দামে করতে পারি না। তবুও পাঁচ কেজি নিলে ৫৫ টাকা করে বিক্রি করছি।’
আলমগীর হোসেনের কাঁচামালের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, একজন ক্রেতা এক কেজি পেঁপের দাম ৫৫ টাকা দিতে চাইলেন। কিন্তু আলমগীর জানালেন, তিনি সাভার থেকে কিনেছেন ৫৪ টাকা কেজিপ্রতি। ফলে, কমে বিক্রি করতে পারবেন না।
এ কথা শুনে ওই ক্রেতা চলে যান। তারপর এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় আলমগীর হোসেন বলেন, ‘প্রায় সব সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। হবে না কেন? চাষির উৎপাদন খচর তো অনেক। সবকিছু দাম বেশি। আবার ব্যবসায়ী লাভ করবে। তাহলে সব জিনিসের দাম বেশি তো হবেই। শুধু কুমড়ার দাম কমে পাওয়া যাচ্ছে। আজ ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি করেছি ১৮০ টাকা, আজ তা বিক্রি করছি ২০০ টাকা। কারণ, আমরা বেশি দামে কিনেছি।
বাজার আজ দুপুরে মাঝারি আকারের লেবুর হালি ২০ টাকা। বড় আকারের লেবু বিক্রি হতে দেখা গেছে ৩০ টাকা হালি দরে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। শশার কেজি ৮০ টাকা। কচুর লতির কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, পটল ৫০ টাকা।