সিন্ডিকেট ভাঙতে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের ৮ দফা
গত দেড় দশকে বাজার নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতা দেখিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। তাদের এই ব্যর্থতার কারণে অনেক বড় সিন্ডিকেট সহ বিভিন্ন অনিয়ম তৈরি হয়েছে। এসব রোধে এফবিসিসিআই নির্বাচনের আগে অধিভুক্ত সব অ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বারের নির্বাচন করার পাশাপাশি আট দফা প্রস্তাব জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ।
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ কর্তৃক এফবিসিসিআইয়ের সংস্কারবিষয়ক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এসব অভিযোগ করা হয়েছে।
সম্মেলনে বক্তাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে—মনোনীত পরিচালক প্রথা সম্পূর্ণ বাতিল করা। সভাপতি, সহসভাপতি এবং পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ ছোট করা। সহসভাপতি সাত জনের স্থলে তিনজন করা। পরিচালনা পর্ষদ ছোট করে চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৫ জন পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৫ জন পরিচালক নির্ধারণের জন্য সুপারিশ করা।
এ ছাড়া আরও প্রস্তাবের মধ্যে আছে—এফবিসিসিআইসহ সব অ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বারে পরপর দুবার নির্বাচিত কর্মকর্তাদেরকে কমপক্ষে একবার বিরতি গ্রহণ করা। নির্বাচনি তফশিল ঘোষণার পরে সাধারণ ভোটারদেরকে যেকোনো উপহার, উপঢৌকন প্রদান সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে জরিমানাসহ আজীবন সদস্যপদ বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির বিধান করা। প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি মানার জন্য লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদের সমন্বয়ক আবুল কাসেম হায়দার, জাকির হোসেন নয়ন, গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী খোকন, জাকির হোসেন প্রমুখ।