মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, প্রচণ্ড ভিড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এ বছরের মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হলেও কেন্দ্রে প্রবেশ ও পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সময় প্রচণ্ড ভিড় সৃষ্টি হয়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এদিকে, পরীক্ষার প্রস্তুতি ছাড়াও গণপরিবহণ সীমিত থাকায় আগেভাগে কেন্দ্রে আসার চিন্তা ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল বাড়তি চাপ। কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিলেও শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ছিল প্রায় অসম্ভব। হাত স্যানিটাইজ ও তাপমাত্রা পরীক্ষা করে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। তবে করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে অভিভাবকদের মধ্যে।
এ বছর ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে চার হাজার ৩৫০টি আসনের জন্য নিবন্ধন করেছেন প্রায় সোয়া লাখ পরীক্ষার্থী। আর ঢাকা মহানগরের ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৪৭ হাজার পরীক্ষার্থী।
দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা চার হাজার ৩৫০টি। আর ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আরও ছয় হাজার ৩৪০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা গত বছর নেওয়া যায়নি। এ অবস্থায় সংক্রমণ কিছুটা কমলে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি কার্যক্রমের সময়সূচি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
মহামারির মধ্যে এ পরীক্ষা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কেন্দ্রে ঢোকার সময় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অথবা স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখা হয়।
এদিকে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নকলমুক্ত রাখতে পরীক্ষাকেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পানির বোতল নিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।