এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
আজ থেকে সারা দেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সারা দেশে একযোগে পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর মোট ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, এ বছর দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের তিন হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেওয়া মোট ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে নয় লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ছাত্র ও আট লাখ ৭৬ হাজার ১১২ ছাত্রী রয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর এক লাখ ৩৫ হাজার ৯০ পরীক্ষার্থী বেশি হওয়ায় ৯৩টি নতুন কেন্দ্রও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশে ৪৪৬ পরীক্ষার্থীর জন্য আটটি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থী হচ্ছে ১৬ লাখ সাত হাজার ১২৪ জন। এ ছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ ও বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (১, ২, ৩ ও ৪ বিষয়ে) এক লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন। এসএসসিতে সাত লাখ দুই হাজার ২৯৯ জন ছাত্র ও সাত লাখ ২৩ হাজার ৬০১ ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেবে। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ২১ হাজার ৩০২ জন বেশি বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া দাখিলে এক লাখ ৩০ হাজার ৫৮৫ ছাত্র ও এক লাখ ২৫ হাজার ৯১৬ ছাত্রী এবং এসএসসি ভোকেশনালে ৭৭ হাজার ৬১৭ ছাত্র ও ২৬ হাজার ৫৯৫ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
আজ থেকে শুরু হওয়া তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামী ২ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হবে। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা চার লাখ ২২ হাজার ২৮৭ জন। অন্যদিকে, এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে।
পরীক্ষা-সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে সব পরীক্ষার্থীর হাতে খাতা দেওয়া হবে। এতে তারা প্রায় ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবে। একমাত্র কেন্দ্র সচিব ছাড়া আর কোনো ব্যক্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তা ছাড়া কেন্দ্র সচিবের অনুমতি ছাড়া কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের বাইরে জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবি, দুবাই, বাহরাইন ও ওমানের সাহামে আটটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয় সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতিলেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, অতীতে পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ অন্যান্য অভিযোগে যারা দোষী হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়, সে ব্যাপারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে কেউ প্রশ্নপত্র আপলোড করলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ (বিটিআরসি) অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।