ইফতার নিয়ে রোকেয়া হলে রাতভর বিক্ষোভ
‘নিম্নমানের’ ইফতারি ফেলে চলে যাওয়া এবং ছাত্রীদের সঙ্গে দুই শিক্ষকের ‘খারাপ’ ব্যবহারের প্রতিবাদে রাতভর বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা ওই দুই শিক্ষিককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী রাত ৩ টায় এসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এবার কেবল পাঁচটি ছাত্রী হলে খাবার দেওয়া হয়। তবে অন্য ছাত্রী হলগুলোতে ইফতারি ও রাতের খাবার দেওয়া হলেও রোকেয়া হলে দেওয়া হয় শুধু ইফতারি।
ছাত্রীদের অভিযোগ, ইফতারি ছিল নিম্নমানের। এর প্রতিবাদে ইফতারি প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে রেখে হলে চলে আসে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। এ সময় দুই আবাসিক শিক্ষক রওশন আরা ও উশ্মিতা জাহান ছাত্রীদের বাজে ভাষায় বকাঝকা করেন এবং তিন ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হবে এমন কথাও বলেন। এতে রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা।
দুই শিক্ষিককে হলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে প্রভোস্ট বলেন, তিনি এটা করতে পারবেন না।বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও প্রক্টর রাত ৩টার সময় রোকেয়া হলে আসেন। তখন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছেও ওই দুই শিক্ষিকাকে হল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। উপাচার্য তাঁদের বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা যায় না। এ দাবি অবশ্যই ভেবে দেখা হবে। পরে শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ বন্ধ করে দেয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশেষ খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ শিক্ষকরা আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণেই এ বছর বিশেষ খাবার দেওয়া হয়নি।
রোকেয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীনকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছে তা ভেবে দেখা হচ্ছে।