ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর বড় আঘাত : উপাচার্য
‘২০০৭ সালের এই দিনে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকের ওপর নির্যাতন করা হয়নি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর একটা বড় আঘাত। পরবর্তী সময়ে এসব আঘাত যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপাচার্য মুহাম্মদ মিজানউদ্দিন এ কথা বলেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আঁধারই শেষ কথা নয় সূর্যটাও আছে।’
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য মুহাম্মদ মিজানউদ্দিন আরো বলেন, ‘তৎকালীন তত্ত্বাবধায়কের নামে সেনা সরকার গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর নির্মম নির্যাতন করেও আমাদের আন্দোলনের মুখে তারা সফল হতে পারেনি। বাংলাদেশের জন্ম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং করবে।’
সভায় আরো বক্তব্য দেন সাবেক উপাচার্য সাইদুর রহমান খান, উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. সাদেকুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে, ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টার দিকে অনুশীলন নাট্যদলের পক্ষ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ভবন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপ-উপাচার্য চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘২০০৭ সালের এই দিনে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান, স্বাধীনতা আন্দোলন, ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়কের নামে সেনাসমর্থিত সরকার আমাদের ওপর নির্যাতন করে আমাদের গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে চেয়েছিল কিন্তু আমাদের আন্দোলনের মুখে তারা সফল হতে পারেনি। এর পরের যেকোনো আন্দোলনেও আমরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করব।’
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এস এম আবু বকরের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য মো. নূরুল্লাহ, অনুশীলন নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।