রাবিতে ছাত্রী উত্ত্যক্তের অভিযোগে যুবককে ছাত্রলীগের মারধর
ছাত্রী উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এনে স্থানীয় এক যুবককে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার আলমগীর হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা।
অন্যদিকে মারধরকারীরা হলেন রাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে টুকিটাকি চত্বরে সাদ্দাম হোসেন ও ইমতিয়াজসহ কয়েকজনের সঙ্গে স্থানীয় যুবক আলমগীরের কথা কাটাকটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দাম ও ইমতিয়াজ আলমগীরকে মারধর করেন। পরে রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ করিম রুপমসহ কয়েকজন বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন।
আলমগীর রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সহসম্পাদক মাহবুব আলমের সঙ্গে টুকিটাকিতে চত্বরে এসেছিলেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে নগর যুবলীগের সহসম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, ‘আলমগীর আমার সঙ্গে ক্যাম্পাসে গিয়েছিল। আমরা টুকিটাকিতে বসে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম। এ সময় সাদ্দামসহ কয়েকজন এসে আমাকে বলে যে, ভাই আপনার ছোট ভাইয়ের (আলমগীর) ব্যবহার খারাপ, উগ্র। আমি বললাম, আলগমীর তো সারাক্ষণ আমার সাথে ছিল। কখন খারাপ ব্যবহার করল। এ কথা বলতে বলতে তাঁরা আলমগীরকে মারধর শুরু করে।’
মাহবুব আলম আরো বলেন, ‘আলমগীর খুবই সাধারণ একটা ছেলে। কী কারণে সাদ্দাম এরকম করলো সে সম্পর্কে আমি অবগত নয়। হয়তো পূর্ব শত্রুতা থাকতে পারে।’
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আলমগীর একজন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন। তাই তাঁকে নিষেধ করা হয়েছে।’