অবশেষে ড. জোহার স্মৃতিস্তম্ভ হচ্ছে রাবিতে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অবশেষে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে তা পূরণ হয়নি।
আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের বাসভবনের কার্যালয়ে দেখা করে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা সরকারি বিশেষ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ হবে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিতে তা জানান। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন।
সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শিক্ষকদের যে অবদান-আত্মত্যাগ সেটা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই নয়; দেশের সব শিক্ষকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে ড. শামসুজ্জোহা হলেন এর পুরোধাব্যক্তিত্ব। শিক্ষার্থীদের ভাবতে হবে ছাত্রদের বাঁচাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সামনে কীভাবে নিজের বুক পেতে দিয়েছিলেন ড. জোহা। এ জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর স্মৃতিফলক নির্মাণ খুবই জরুরি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রাথমিক সোপান রচনায় প্রথম বুদ্ধিজীবী শহীদ ড. শামসুজ্জোহার অবদানের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গর্ব করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও ড. জোহা সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। এখানে যারা পর্যটক হিসেবে আসেন, তাঁদের জানানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা ক্যাম্পাসে নেই, যা খুবই হতাশাজনক। আর্থিক সমস্যার কারণে এতদিন স্মৃতিফলক নির্মিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ফজলে হোসেন বাদশা এ বিষয়ে এগিয়ে এসেছেন। আশা করছি, শিগগির ড. জোহার স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।’
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা। আন্দোলনরত ছাত্রদের বাঁচাতে তিনি নিজে সেনাবাহিনীর বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন।