জাবিতে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে আলোচনা ও স্থিরচিত্র প্রদর্শনী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আলোচনা সভা ও স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু : স্মৃতিতে অবিনশ্বর’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছেন। এ কারণে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির সম্মান অর্জন করেছেন।
অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, অসাধারণ প্রতিভা ও বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু গণমানুষের কালোত্তীর্ণ নেতা। তিনি রাজনীতি ও সরকার পরিচালনার পাশাপাশি পাঁচটি গ্রন্থও রচনা করেছেন। এরই মধ্যে তাঁর তিনটি গ্রন্থ মুদ্রিত হয়েছে। অবশিষ্ট দুটি গ্রন্থ পাণ্ডুলিপি আকারে আছে, শিগগিরই ছাপার কাজ শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাঙালির মনে পড়ে। বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে মনে করে। বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের জন্য তাঁকে মনে করতেই হবে। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁর কীর্তির জন্যই বাঙালির মনে সাহসের প্রতীক হয়ে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন গবেষক ও লেখক মোনায়েম সরকার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।
স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধার অ্যাডভোকেট আফিয়া বেগম।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ফাউন্ডেশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্থিরচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন এবং তা ঘুরে দেখেন।