ভর্তিচ্ছুদের অভিভাবকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার দুপুরে হামিদ হোসেন নামে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের একজন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর কাছে এই অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এ রকম একটি বিষয় আমি শুনেছি। প্রক্টর টিমের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা বিষয়টি দেখছি।’
অভিযোগে হামিদ হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মনিরুল আলম খোরশদসহ তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেড়াতে যান। সেখানে তাঁরা শহীদ মিনারে বসেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র সেখানে তাদের বসতে নিষেধ করে। তাঁরা নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের কর্মী বলে পরিচয় দেয়।
‘তার পরও তাঁরা বাকবিতণ্ডতায় জড়ায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে ২০-২৫ জন এসে অভিভাবকসহ আমাদের ওপর হামলা করে। এতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক ওই সদস্যের মাথা ফেটে যায়। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর মাথায় দুটো সেলাই দেওয়া হয়েছে’, অভিযোগে বলা হয়।
এ বিষয়ে মনিরুল আলম খোরশেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ওই রাতে তিনি অভিভাবকদের শহীদ মিনারে বেড়াতে নিয়ে যান। এ সময় কয়েকজন সেখানে হইহুল্লোড় করছিল। তাঁরা শহীদ মিনারে বসতে নিষেধ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও জুনিয়রদের নিয়ে এসে হামলা করা হয়।’ হামলাকারীরা মাতলামি করছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের সঞ্জয় সরকার জয়, সংগীত বিভাগের মেহেদী হাসান দিপু, নৃবিজ্ঞান বিভাগের আলক হাজং ও ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের মানস মণ্ডলকে হামলাকারী হিসেবে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে সঞ্জয় সরকার জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের উপবিতর্কবিষয়ক সম্পাদক, মানস মণ্ডল জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের উপসেবা ও চিকিৎসাবিষয়ক সম্পাদক। মেহেদী হাসান দিপু ও আলক হাজং ছাত্রলীগের কর্মী। তবে তাঁরা হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সঞ্জয় সরকার বলেন, ‘অসম্ভব, আমি কোথাও ছিলাম না।’
আলক হাজং বলেন, ‘কোথায়, কে হামলা করছে? আমি ছিলামই না।’ তিনি সিলেট ছিলেন বলে দাবি করেন।
মেহেদী হাসান দিপু বলেন, ‘আমি তো ছিলাম না।’
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে খোঁজ নিচ্ছি। যদি ছাত্রলীগের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।