খেলার মাঠে ধাক্কাধাক্কি নিয়ে ইবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর
খেলার মাঠে ধাক্কাধাক্কিকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ইবির কেন্দ্রীয় ফুটবল খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী হলেন ইংরেজি বিভাগের তৌহিদুর রহমান তৌহিদ। তাঁর অভিযোগ, ধারালো কিছু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেছেন ছাত্রলীগকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ দুপুরে ইংরেজি বিভাগের সঙ্গে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফুটবল খেলা হয়। সেমিফাইনালের এই খেলায় দুই পক্ষেরই গোল শূন্য হওয়ায় টাইব্রেকার হয়। এ সময় দর্শকরা মাঠের মাঝখানে চলে আসে। ফলে ধাক্কাধাক্কি হয়।
এ সময় মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেভিয়ার জেবি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহিম স্বপ্ন, ইমতিয়াজ, দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ইমরান মিলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদকে মারধর শুরু করেন। মারধরের একপর্যায়ে তৌহিদের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করেন ছাত্রলীগকর্মী জেভিয়ার। পরে আহত তৌহিদকে তাঁর সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। মারধরকারীরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের অনুসারী।
এ ঘটনার পর ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দিকে পালিয়ে যান। এ সময় জিয়াউর রহমান হলের গেট বন্ধ করে দেন জুয়েল রানা হালিমের কর্মী শাহজালাল সোহাগ, তুষার ও বিপুল।
এরপরে ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবর রহমান। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনি এসে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদেরই ধমক দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আহত তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘যতটুকু মনে হয়, মারধরের সময় আমার মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু বলেন, ‘ঘটনার বিচার দাবি করে বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি লিখিতভাবে অভিযোগ চেয়েছেন। শনিবার লিখিত অভিযোগ নিয়ে উপাচার্যের কাছে যাব।’
এদিকে, মারধরকারীরা নিজের কর্মী বলে স্বীকার করে নিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম। তিনি বলেন, ‘খেলার মাঠে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। কিছু অঘটন ঘটে যায়। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।