পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের দাবি

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সুপারিশের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে আন্দোলনকারীরা এ দাবি জানায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক মাইদুল ইসলাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, কোটা এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরের সঞ্চালনায় সংহতি বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে তিনদফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো- কোটা সংস্কার নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সকল আটকৃতের মুক্তি, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলকারীদের শাস্তি দেওয়া ও পাঁচ দফার আলোকে কোটা সংস্কার করা।
মানববন্ধনে সংহতি বক্তব্যে অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী বলেন, ‘কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেনি। তারা কোটার যোক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। কিন্তু এখন কোটা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
সামিনা লুৎফা বলেন, ‘নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে শিক্ষকদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। চবির শিক্ষক মাইদুল ইসলাম নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এই কারণে সে এখন জেলে বন্দী আছে। আমরা তাঁর অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি। এ সময় তিনি আলোকচিত্রী শহীদুল আলমসহ আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃত সব শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবি জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রী পরিষদ সভায় আমাদের পাঁচ দফা দাবির আলোকেই কোটা সংস্কার করতে হবে। আমরা শুধু প্রথম শ্রেণি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, আতাউল্লাহ খান, বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।