জবির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে বর্ণাঢ্য আয়োজন
নানা আয়োজনে আগামীকাল উদযাপিত হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিনটিকে ঘিরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গতকাল ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ছিল। প্রতি বছর ওইদিনেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়। তবে, এবার দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় দিবসটি পালিত হচ্ছে দুদিন পর আগামীকাল সোমবার।
দিবসটিতে এবারের স্লোগান ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, অদম্য ১৩ বছর’।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হবে। এরপর ৯টা ১৫ মিনিটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর একটি র্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হবে। এরপর পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে ক্যাম্পাসে এসে ল্যালিটি শেষ হবে।
এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় সামাজিক বিজ্ঞান ভবন চত্বরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এরপর দুপুর ১২টায় নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া দিনব্যাপী ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১৮৫৮ সালে টাঙ্গাইলের বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী পুরান ঢাকায় একটি ব্রাহ্মস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৮৭২ সালে তাঁর বাবার নামানুসারে এটির নামকরণ করেন ‘জগন্নাথ স্কুল’। ১৮৮৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজ, ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণির কলেজ ও ১৯৬৮ সালে সরকারি কলেজে পরিণত হয় এই প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর ৭ একর জায়গা নিয়ে জাতীয় সংসদে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫’-এর মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা সংকুলান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা, নতুন একাডেমিক ভবন এবং গবেষণা কাজের সুবিধার্থে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় ২০০ একর জমিতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয়টি অনুষদে ৩৬টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষক ও ১৯ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৩ সালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের জন্য এক হাজার আসন বিশিষ্ট ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব' হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বর্তমানে ১৬ তলা বিশিষ্ট হলটির নির্মাণ কাজ চলছে। এ বছরের শেষে ছাত্রীরা হলে উঠতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।